রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন

নওগাঁয় ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

সজিব হোসেন নওগাঁ প্রতিনিধি । 
  • Update Time : শনিবার, ২১ মে, ২০২২
  • ১৩৬ Time View

সজিব হোসেন নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁয় ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত শুক্রবার রাতের ঝড়ে বাগানগুলোর প্রায় ১৫ শতাংশ গাছ থেকে ঝরে পড়ে গেছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, তারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ করতে পারেনি। শনিবার সকালে জেলার সাপাহার ও পত্নীতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাগানে-বাগানে মাটিতে পড়ে আছে ঝরে পড়া আম। কোনো কোনো বাগানে ঝরে আম কুড়িয়ে বাগানের এক জায়গায় স্তুপ করে রাখা হয়েছে। ঝরে পড়া এসব আমের অধিকাংশই ফেটে নষ্ট হয়েছে অনেক আম। কোনো কোনো বাগানে আমের গাছ উপড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া গাছের ডাল ভেঙে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল রাত ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত নওগাঁয় ঝড়-বৃষ্টি হয়। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। বৃষ্টি হয়েছে ৪৩ মিলিমিটার। নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় এ বছর ২৯ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। ৬ হাজার ৮০০ আম চাষির প্রায় সাড়ে ৯ হাজার বাগান রয়েছে।

প্রতি হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৩ দশমিক ৫ মেট্রিক টন। সে হিসেবে এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন। জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ বলেন, গত রাতের ঝড়ে কোন ফসলের কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিরূপণ করা হয়নি। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে। তবে এর আগে চলতি মাসেই কয়েক দফা ঝড়ে নওগাঁর বাগানগুলোর প্রায় ১৫ শতাংশ আম ঝরে পড়েছে। গত রাতের ঝড়েও ফজলী, ল্যাংড়া, নাক ফজলী, গোপালভোগ জাতের গাছগুলো বড় হওয়ায় এসব গাছের আম বেশি ঝরে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে। জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে ৬০ ভাগেরও বেশি আম উৎপাদন হয় পোরশা ও সাপাহার উপজেলায়। সকালে সাপাহার উপজেলার মানিকুড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঝরে আম কুড়ে এনে বাগানের একটি স্থানে স্তুপ রাখছেন আমচাষি আমিনুলসহ ছয়-সাত জন শ্রমিক।

আমচাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘৮০ বিঘা জমি জুড়ে তাঁর দুটি বাগান রয়েছে। রাতের ঝড়ে তাঁর দুই বাগানে প্রায় ১০০ মণ আম ঝড়ে পড়েছে। বাগানের চার ভাগের এক ভাগ আমই ঝরে গেছে। ঝরে পড়া এসব আম বাজারে দুই টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অথচ পরিপক্ক অবস্থায় এসব আম বাজারে বিক্রি করলে কমপক্ষে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। পত্নীতলা উপজেলার রূপগ্রাম এলাকার বাসিন্দা আমচাষি সোহেল রানা বলেন, তাঁর ১২০ বিঘার বাগানে ৮০ শতাংশের বেশি আম্রপালি জাতের গাছ রয়েছে। আ¤্রপালি গাছ ছোট হওয়ায় এসব গাছে ঝড়ে আম ঝরেছে। তবে আশ্বিনা, নাক ফজলী ও ল্যাংড়া জাতের গাছগুলো বড় হওয়ায় এসব গাছের প্রায় ২০ শতাংশ আম ঝরে পড়েছে।

 

কিউএনবি/আয়শা/২১.০৫.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:১৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit