রুহুল কবির রিজভী, শফিক বেবু ও লুৎফর রহমান এর সংগ্রামী জীবনের কথা
————————————————————————————-
এই তিনজন মানুষের সম্পর্কটা ১৯৮৭ সাল থেকেই। জালাল -বাবলু – নীরুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে কুড়িগ্রামের কৃতিসন্তান রুহুল কবির রিজভী সহ-সভাপতি মনোনীত হলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিজভীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পদচারণা বৃদ্ধি পেল। তখন থেকেই তার পাশে অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক দুই ছাত্রনেতা, যাদের আগমন ঘটেছে সেই কুড়িগ্রাম থেকেই । লুৎফর রহমান ও শফিকুল ইসলাম বেবু রিজভী ভাইয়ের অতন্ত্র প্রহরীতে পরিণত হলেন।
১৯৮৮ সালে ছাত্রদল জহুরুল হক হল শাখার সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভীকে গেস্ট করে নিয়ে গেলেন লুৎফর রহমান। রিজভী আহমেদ এর প্রাজ্ঞ ও জ্বালাময়ী বক্তব্যে তিনি ঢাবি ক্যাম্পাসে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করলেন। ঢাকায় শুরু হল রিজভীর সুদৃঢ় নেতৃত্ব। ১৯৮৯ সালে ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান রিপন দীর্ঘ সফরে কানাডা চলে গেলে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনয়নে ক্যাম্পাসের একমাত্র শক্তিধর পক্ষ নীরু-অভি গ্ৰুপকে রিজভীর পক্ষে মাঠে নামালেন লুৎফর রহমান। অতঃপর ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিয়োগ লাভ করলেন রুহুল কবির রিজভী।
১৯৯২ সালে ছাত্রদলের সম্মেলন। কাউন্সিলরদের প্রতক্ষ্য ভোট নির্বাচিত হবে মূল নেতৃত্ব। লুৎফর রহমান তখন রাজনৈতিক কারণে ব্যাংককে নির্বাসিত। শফিকুল ইসলাম বেবু রিজভীকে নিয়ে সমগ্র বাংলাদেশ চষে বেড়ালেন কাউন্সিলরদের সমর্থন আদায়ে। সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বিপুল ভোটে ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হলেন।
২০০১ সালে কুড়িগ্রাম সদর আসনে নির্বাচন করলেন লুৎফর রহমান। ৫ বছর দলকে নির্বাচনমুখী ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করে গেলেন নিরলসভাবে। ২০০৬ সালের ২২শে জানুয়ারীর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ডে লুৎফর রহমান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে অনুরোধ করলেন, রিজভী ভাইকে রাজশাহীতে মনোনয়ন দিতে সমস্যা হলে আমার আসন অর্থাৎ কুড়িগ্রাম-২ আসনে মনোনয়ন দিন। যদিয় রিজভী কুড়িগ্রাম- ২ আসনে মনোনয়নই চাননি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কুড়িগ্রাম-২ আসনে রুহুল কবির রিজভীকে মনোনয়ন প্রদান করলেন। কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি কেন্দ্রিক রাজনীতিতে রিজভী আহমেদ এর পদার্পন ঘটল।
১৯৮৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত শফিকুল ইসলাম বেবু ও লুৎফর রহমান রিজভী আহমেদ এর অশেষ স্নেহ নিয়ে তাঁকে কুড়িগ্রামের এমপি নির্বাচিত করার সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন। কোন পদ পদবীর লোভে নয়, কুড়িগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে এখন জাতীয় নেতা এডঃ রুহুল কবির রিজভীর সুযোগ্য নেতৃত্ব কুড়িগ্রাম জেলায় আবশ্যক বিধায় এই দুই সাবেক ছাত্রনেতা কাজ করে যাচ্ছেন আন্তরিক ভাবে। এখন কুড়িগ্রাম জেলার সকল বিএনপির নেতাকর্মীদের উচিত শফিকুল ইসলাম বেবু ও লুৎফর রহমান এর প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করা। আল্লাহ হাফেজ।
সংগ্রহঃ ফুলবাড়ীর ছাত্রদল নেতা Md Arifur Rahman এর টাইমলাইন থেকে।
১৪.০৫.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/ সন্ধ্যা ৬.১০