এ নিয়ে হওয়া সালিশ বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা হলেও মেনে নিতে পারছিলেন না মহসীন। এরই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আরিফের উপর আক্রমণ চালায় মহসীনসহ কয়েকজন। আরিফ তখন ফলসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে মোটর সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। স্ত্রীর দেওয়া তালিকা অনুযায়ি একটি ছুরিও কিনেন তিনি। হামলার সময় ওই ছুরিতেই তিনি এলোপাথারি আক্রমণ করেন বলে স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেন। কিছুদিনের মধ্যেই আরিফ আবার প্রবাসে চলে যাওয়ার কথা।তবে মহসীনের সাথে থাকা মো. শফিউল আলম নামে এক ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছিলেন যে, সন্ধ্যার দিকে মোটর সাইকেলে করে তারা রাধানগর খেকে খলাপাড়া যাচ্ছিলেন। মোটর সাইকেল চালাচ্ছিলেন মহসীন। এ সময় পাঁচ-ছয়জন এসে মহসীনের উপর অতর্কিত হামলা চালান। তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের লোকজন জানান, কিছুদিন আগে মহসীনের বাবাকে অপদস্থ করেন একই এলাকার আউয়াল মিয়ার ছেলে মো. আরিফ। বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা হয়। এরই জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়।হাসপাতালে থাকা মহসীনের বাবা শহিদুল ইসলাম গায়ে লেগে থাকা রক্ত দেখিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ ঘটনার জন্য তিনি আরিফকে দায়ী করেন।আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় সরকার কালের কণ্ঠকে জানান, কৌশল অবলম্বন করে আরিফকে ধরা হয়। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে নিজ বাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, আরিফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও কি বলেছেন সেটা জানা নেই। জানার পর তার কথা যাচাই করা হবে।
কিউএনবি/অনিমা/৮ই মে, ২০২২/২৫ বৈশাখ, ১৪২৯/সকাল ১১:৩৭