ডেস্কনিউজঃ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন তারই এলাকা যশোরের মণিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। অযোগ্যদের দিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করায় শনিবার বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ১৯টি ইউনিটের নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দেন। একইসাথে তারা ঘোষিত নতুন কমিটিকে প্রত্যাখান করে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
মণিরামপুর সরকারি কলেজ, পৌর ও ১৭টি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ, গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় আকস্মিক ফেসবুকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মণিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। ওই কমিটিতে দীর্ঘ দিন ধরে রাজপথে থাকা ত্যাগীদের বাদ দিয়ে অনভিজ্ঞ, বির্তকিত, রাজনৈতিক ভারসাম্যহীন, সাধারণ সদস্যও না এমন ব্যক্তিদের স্থান দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঘোষিত কমিটির সভাপতি ফাস্টফুড ব্যবসায়ী, যিনি এইচএসসি পাস। সাধারণ সম্পাদকের ছাত্রত্বের প্রমাণ নেই, যুগ্ম সম্পাদকের সাধারণ সদস্যপদ নেই। আর সাংগঠনিক সম্পাদক সদ্য এসএসসি পাস করেছেন; যিনি কখনো ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এছাড়া ফজলুর রহমান নামে যাকে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি করতে সুপারিশ করা হয়েছে তিনি একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। যার বয়স ৩৮ বছর।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যর নির্দেশে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত নতুন কমিটিকে প্রত্যাখানের পাশাপাশি লেখক ভট্টাচার্য্যকে মণিরামপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মণিরামপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, মণিরামপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক জিএম ফয়সালসহ ১৭টি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মণিরামপুর থেকে সংবাদ সম্মেলন করতে প্রেসক্লাব যশোরে আসার সাথে সাথে অপরপক্ষ তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ১০ জন আহত হয় বলে দাবি করেছেন মণিরামমপুরের নেতৃবৃন্দ। আহতদের শহরের একটি বাড়িতে গোপনে চিকিৎসা দেয়া হয়।
কিউএনবি/বিপুল/ ৩০ এপ্রিল ২০২২খ্রিস্টাব্দ /রাত ১০.২৭