ডেস্কনিউজঃ দেশের সয়াবিন তেলের বাজার ব্যবস্থাপনা যেন খামখেয়ালিপনায় পূর্ণ। আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও পাল্লা দিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রতি লিটার দাম উঠেছে ১৬৮ টাকায়। বেশ দেরিতে হলেও দাম কমিয়ে আনতে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে সরকার। তারপরও দাম কমাতে ব্যবসায়ীদের যেন অজুহাতের শেষ নেই। আমদানিকারকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শুল্ক ছাড়েও সহজেই কমছে না দাম।
তথ্যমতে, গেল প্রায় এক বছরে দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। ৮০ টাকা লিটারের সয়াবিন, ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে এখন ১৬৮ টাকায়। তবে বেশ দেরিতে হলেও এবার তেলের দাম কমাতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। প্রথম দফায় গেল ১৪ মার্চ উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ ভ্যাটের পাশাপাশি ভোক্তাপর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করে সরকার। এর পরদিন ১৫ মার্চ ফের আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছাড় দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সব মিলে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট-শুল্ক ছাড় দেওয়া হলেও বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমেনি এক টাকাও।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের দামেই সয়াবিন বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি লিটারে ৩০ টাকা কমার কথা ছিলো, কিন্তু কমতি রেটের মাল এখনও আমরা পায়নি।
টি কে গ্রুপের গ্রুপ ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দারও বলছেন, খুব বেশি দাম কমার সুযোগ নেই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের ঠকিয়েই পণ্য বিক্রি করবেন। আর এটাই যেন এদেশের ভোক্তাদের নিয়তি।
ক্যাবের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন জানান, তারা ভোক্তাদেরকে জিম্মি করে বেশি দাম নেওয়াতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সে কারণে সরকার শুল্ক বা ভ্যাট কমানোর পরেও ভোক্তা পর্যায়ে সে বিষয়গুলো আসেনি।
কঠোর বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির ব্যবস্থা করলেই বাজারে স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করেন তিনি।
কিউএনবি/ বিপুল/ ২০.০৩.২০২২ইং/সকাল ৯:১১