বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন

দুইশ রানও করতে পারল না বাংলাদেশ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৭৪ Time View

 

স্পোর্টস ডেস্ক :  ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন লিটন। মাইলফলকের ম্যাচটা রাঙাতে পেয়ে যান ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতকটাও। এমন ছন্দে ছুটছিলেন, মনে হচ্ছিল ষষ্ঠ সেঞ্চুরিটাও বুঝি পেয়ে যাবেন। কিন্তু থামতে হয় ৮৬ রানের মাথায় গিয়েই। আর অন্যদের ব্যর্থতায় এদিন বাংলাদেশের স্কোরও পায়নি কাঙ্ক্ষিত মানের।

নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই সবকটি উইকেট হারিয়ে স্বাগতিক দল জড়ো করতে পারে মোটে ১৯২ রান। লিটন ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। আর ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ দিকের তিনজনই হন রান আউট, যার ফলে পুরো পঞ্চাশ ওভার খেলতে পারল না বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামে আফগানদের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে টস জেতা স্বাগতিকরা এদিন পরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ধীর গতির, অনেকটা নড়বড়েও বটে। শুরু থেকেই ফজল হক ফারুকির পেস খেলতে সমস্যা হচ্ছিল তামিমের। দ্বিতীয় বলেই আবেদন ওঠে লেগ বিফোরের। কিন্তু আম্পায়ার সাড়া দেননি।

সমস্যা হচ্ছিল লিটন দাসেরও। তৃতীয় ওভারে ফজল হক ফারুকির বলে ফ্লিক করতে গিয়ে রিভিউয়ের শিকার হন তিনি। শুরুর দিকে মনে হচ্ছিল বলটি প্যাডে লেগেছে। আফগানরা লেগ বিফোর উইকেটের আবেদন করলেও আম্পায়ার সাড়া দেননি তাতে। পরে রিভিউ নিলে দেখা যায় ব্যাট ছুঁয়ে প্যাডে লেগে চলে গেছে বল।

এমন নড়বড়ে শুরুর পর ষষ্ঠ ওভারে ক্যাচও ওঠে তামিমের। মুজিবের বলে ইনসাইড এজ হলেও কঠিন ক্যাচ গ্লাভসে জমাতে পারেননি কিপার গুরবাজ। তবে ১১তম ওভারে ফারুকির বলে আর শেষ রক্ষা হয়নি। আগের দুই ম্যাচের মতো প্রায় একই ধরণের ডেলিভারিতে তামিমকে ফাঁদে ফেলেছেন আফগান পেসার। 

শেষ দুই ম্যাচে লেগ বিফোরে কাটা পড়লেও এবার ভেতরে ঢুকে পড়া বলে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন তামিম। একই ওভারে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আউট হয়েছিলেন সাকিবও। কিন্তু যে যাত্রায় রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান বাঁহাতি ব্যাটার।

শুরুর ধাক্কার পর ধীরে ধীরে জড়তা কাটিয়ে ওঠেন লিটন দাস। ব্যাট চালিয়ে বাড়িয়ে নিতে থাকেন ব্যক্তিগত ও দলীয় রান। এই সময় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সাকিবও। কিন্তু সেই সঙ্গটা স্থায়ী হতে দেননি আজমতউল্লাহ ওমারজাই। একটা সফট ডিসমিসালে কপাল পোড়ে সাকিবের।

দলীয় ৪৩ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর ৬১ রান যোগ করেন এই জুটি। শত রানও ছাড়ায় তাদের কল্যাণে। শক্তপোক্ত হয়ে ওঠার পথে সাকিব বোল্ড হয়েছেন ওমারজাইয়ের বলে। তার ৩৬ বলে ৩০ রানের ইনিংসে ছিল ৩টি চারের মার। 

তার পরেই আঘাত হানেন রশিদ খান। ২৭তম ওভারে শুরুতে মুশফিককে গ্লাভসবন্দি করিয়েছেন। তারপর ইয়াসির আলীকেও গুলবাদিনের ক্যাচ বানান আফগান লেগ স্পিনার। মুশফিক করেছেন ৭ রান আর ইয়াসির মাত্র ১। এ দুটি উইকেট নিয়েই ১৫০ উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন রশিদ। ম্যাচের হিসেবে যা দ্রুততম। মিচেল স্টার্কের লেগেছিল ৭৭ ম্যাচ। সাকলায়েন মুশতাকের ৭৮। রশিদের লাগলো ৮০ ম্যাচ।

এরপর সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস মোহাম্মদ নবীর বলে লং অনে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন গুলবাদিন নাইব। তার আগে ১১২ বলে ৭টি চারের মারে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিম্যান।

আফগান অফস্পিনারের আঘাতে ফিরে যান আফিফ হোসাইনও! যাতে ১৬০ রানেই ৬ষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর মিরাজ রান আউট এবং তাসকিন রশিদ খানের শিকার হয়ে ফিরলে ১৭৬ রানেই অষ্টম উইকেটের পতন দেখে বাংলাদেশ।

যেখান থেকে শেষ দিকের ব্যাটারদের নিয়ে বেশিদূর এগোতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৫৩ বল খেলে কোনও বাউন্ডারি ছাড়াই অপরাজিত থাকেন ২৯ রান করে।

কিউএনবি/অনিমা/২৮শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ২:৫৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

August 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit