মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন

বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবেন কারা, জানালেন অর্থমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৮৬ Time View

 

ডেস্ক নিউজ : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের ব্যবসায়ীদের বিদেশে বিনিয়োগ ভালো উদ্যোগ।  এর ফলে দেশের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সবাই বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবেন না- এ বিষয়টিও পরিষ্কার করেছেন অর্থমন্ত্রী। বিদেশে বিনিয়োগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমরা নিয়ম করে দিয়েছি সবাইকে অ্যালাউ করা হয়নি, অ্যালাউ করা হয়েছে যারা এক্সপোর্ট করেন, নিজের অ্যাকাউন্টে এক্সপোর্টের বিপরীতে রিটেনশন মানি (জামানতের অর্থ) থাকে সেখান থেকে তাদের এক্সপোর্টের ২০ শতাংশ তারা বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবেন। সেই ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়েছে গ্রস এসেস থেকে লাইবিলিটি বাদ দিলে যে নেট এসেস সেখান থেকে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ টাকা তারা বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবেন।’

রোববার দুপুরে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়ালি বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে অর্থমন্ত্রী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। চলতি বছর দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ২৫ শতাংশ কমে গেছে, এ বিষয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিনিয়োগ অন্য জিনিস। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে আরও অন্যান্যরাও আছে। সব দেশই তাদের ফরেন এক্সচেঞ্জ রেটটা আস্তে আস্তে অনুমোদন করে। জনগণের বিদেশি বিনিয়োগের জন্য এটা করা হয়, আমরাও সেই পথে যাচ্ছি। আমরা মনে করি, আমাদের বিদেশি বিনিয়োগ হলে সেখান থেকে আয়ও আসবে। আমাদের জনগণই সেখানে গিয়ে চাকরি করবে। আমাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষজন অনেক বেশি সৃজনশীল আইডিয়া নিয়ে আসছেন এবং তারা বিদেশে বিনিয়োগ করার চেষ্টা করছেন। বিদেশে বিনিয়োগ অন্যায় কিছু না। যদি অনুমতি না দেন তাহলে এটা চলে যাবে হুন্ডির মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায়। তার চেয়ে যদি আমরা অফিশিয়ালি অনুমোদন করি সেটাই ভালো। ’তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বন্ধ করে রাখি, অন্যদের অ্যালাউ না করি- তাহলে আমরা পিছিয়ে থাকব। আমি মনে করি, এটা আমাদের ভালো উদ্যোগ। এটা নিয়ে আমরা অনেক কাজ করেছি। বিষয়টি হলো আমাদের দেশে লোকজনের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব অনেক বেশি, আমাদের সক্ষমতাও অনেক বেশি।’

এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ আমাদের ওঠানামা করবে, যখন আমরা আমদানি বেশি করি তখন রিজার্ভ থেকেই সেটা ব্যয় করতে হয়। রিজার্ভ কীভাবে হয়? যখন আমরা রপ্তানি করি তখন সেই রপ্তানির ফলে অর্জিত অর্থ চলে যায় বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে। তাদের নির্দিষ্ট লিমিট থাকে, এর বেশি তারা বৈদেশিক মুদ্রা রাখতে পারে না। তখন তাদের বিক্রি করতে হয়, বিক্রি করলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেটা কিনে নেয়। সেভাবেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ বাড়ে।’

রেমিটেন্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যেমনিভাবে রপ্তানি তেমনিভাবে রেমিটেন্স। কারণ রেমিটেন্স যখন বেশি আসে তখন সেটি চলে যায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কাছে। ব্যাংকগুলো তা বিক্রির জন্য দারস্থ হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এগুলো কিনে নিয়ে তাদের ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ বৃদ্ধি করে। আমরা এখন বিপুল অংকের আমদানি বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে করে রিজার্ভ কিছুটা ওঠানামা করে, আমরা পেমেন্ট করলে কিছুটা কমে। এখন যে ৪৫ থেকে ৪৬ বিলিয়ন ডলারে ওঠানামা করছে এটা ঠিক আছে। আমরা যদি পেমেন্ট না করতাম তাহলে বহু আগেই আমাদের ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতো। আমি মনে করি আমাদের হবে, আমরা এভাবে করতে করতে এগুবো।’

জিডিপি বৃদ্ধির ফলে ২০ শতাংশের বেশি মানুষকে সহায়তা করছে, এ ধরনের জিডিপি আর কতদিন গ্রহণ করব- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির উন্নতি হলে জিডিপি বাড়বে। জিডিপিতে শুধুমাত্র দেশের উন্নয়ন থাকে না, আপনি যে বাজারে জিনিসপত্র কেনাকাটা করেন সেগুলোও জিডিপিতে যায়। সুতরাং কেবলমাত্র রাস্তাঘাট জিডিপিতে আসে না। জিডিপিতে জনগণের তাদের আয়-ব্যয় সব কিছুই সেখানে আসে। শুধুমাত্র রেমিট্যান্স থেকে যে আয় করি সেই আয়টি আমাদের জিডিপিতে যায় না, কিন্তু আমাদের মাথাপিছু আয় এখানে আসে।’

 

 

কিউএনবি/আয়শা/৩০শে জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৩৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit