বেশ কয়েকজন আহত হয় যাদের গোয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। গোয়ার ব্যস্ত এলাকায় অবস্থিত বার্চ বাই রোমিও লেনের ভেতরে আতশবাজি পোড়ানোর ফলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
নাইটক্লাবটির মালিক সৌরভ লুথরা ও গৌরব লুথরা সহোদর ভাই। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) পুলিশ জানায়, অগ্নিকাণ্ডের পরপরই দেশ ছেড়ে পালান তারা। গোয়া পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, তাদেরকে দ্রুত ধরতে সিবিআইয়ের ইন্টারপোলের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার পর গোয়া পুলিশের আবেদনে গোয়েন্দা ব্যুরো (বিওআই) তাদের বিরুদ্ধে একটি লুকআউট সার্কুলার জারি করেছে। ওই কর্মকর্তা জানান, মুম্বইয়ের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরপরই ইন্ডিগোর বিমানে করে দেশ ছাড়েন অভিযুক্তরা।
অভিযুক্ত গৌরব ও সৌরভ লুথরার বাড়িতে অভিযান চালানোর জন্য গোয়া পুলিশ তৎক্ষণাৎ দিল্লিতে একটি দল পাঠায়। পুলিশ জানায়, ‘যেহেতু তাদের পাওয়া যায়নি। এটি প্রমাণ করে যে, তারা পুলিশি তদন্ত এড়াতে চান। তাই আইনের যথাযথ ধারায় তার বাড়ির গেটে একটি নোটিশ সাঁটানো হয়েছে।’
গোয়া পুলিশ নাইটক্লাবের কর্মী দিল্লির বাসিন্দা ভরত কোহলিকে আটক করেছে। এছাড়া পুলিশ ক্লাবের প্রধান জেনারেল ম্যানেজার রাজীব মোদক, জেনারেল ম্যানেজার বিবেক সিং, বার ম্যানেজার রাজীব সিংঘানিয়া এবং গেট ম্যানেজার রিয়াশু ঠাকুরকে গ্রেফতার করেছে।
অগ্নিকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানান, ক্লাবটি অগ্নিসুরক্ষা বিধি অনুসরণ করেনি। তিনি এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেন এবং নিরাপত্তার ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও ক্লাব পরিচালনা এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ জানান।