জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা বলছি না, তবে এটি ৩০-এর বেশি। প্রেসিডেন্ট এখনও দেশগুলোর বিষয়ে মূল্যায়ন করছেন।’গত জুনে ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন ট্রাম্প। এছাড়া আরও ৭টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
যে ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল, সেগুলো হলো আফগানিস্তান, চাদ, ইরিত্রিয়া, মিয়ানমার, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, এটি ‘বিদেশি সন্ত্রাসী’ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা হুমকি ঠেকাতেই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা অভিবাসী থেকে শুরু করে পর্যটক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন।
তবে নতুন করে কোন কোন দেশের নাগরিকদের ওপর ভমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে সে বিষয়ে নোম স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। তিনি বলেন, যদি কোনো দেশের সরকার স্থিতিশীল না থাকে, যদি তাদের নিজস্ব দেশের নাগরিকদের পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারে বা তাদের যাচাই করতে সাহায্য করতে না পারে, তাহলে কেন আমরা সেই দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেব?’
এর আগে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, স্টেট ডিপার্টমেন্টের অভ্যন্তরীণ নথির ভিত্তিতে ট্রাম্প প্রশাসন আরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করছে।
এই তালিকায় আরও দেশ যুক্ত হলে তা হবে গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্য হত্যার পর প্রশাসনের সাম্প্রতিক অভিবাসন পদক্ষেপের বড় ধরনের সম্প্রসারণ।
তদন্তকারীরা বলছেন, ওই হামলাটি চালায় একজন আফগান নাগরিক। তিনি ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় প্রবেশ করেছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দাবি, ওই কর্মসূচিতে যথাযথ যাচাই-বাছাই হয়নি।
হামলার কয়েক দিনের মধ্যেই ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করবেন। যদিও তিনি কোনো দেশ নাম উল্লেখ করেননি বা ‘তৃতীয় বিশ্বের দেশ’ বলতে কাদের বুঝানো হয় সেটিও স্পষ্ট করেননি।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকা বিশ্বের ১৯টি দেশের নাগরিকদের জমা দেয়া অভিবাসন আবেদন স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্থগিত করে ট্রাম্প প্রশাসন।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স