রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, কুড়িগ্রাম : অর্র্থের বিনিময়ে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভারি শিল্প কারখানার (ফ্লাওয়ার মিল) ছাড়পত্র দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে পরিবেশের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। স্থানীয়রা বলছে স্বৈরাচারী আচরণ ও কর্মকর্তাদের নানা অনিয়মের কারণে সুফিয়া অটো ফ্লাওয়ার মিলটি বন্ধ হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক চত্ত্বরে আবাসিক এলাকায় অবৈধ সুফিয়া অটো ফ্লাওয়ার মিল মাসোহারা নিয়ে চালানো ও কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম এবং রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা নুর আলমের অনিয়ম ও অসদচারণের প্রতিবাদে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে ভেলাকোপা ও কেচাপাড়া গ্রামের প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
এলাকাবাসীর পক্ষে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে হারুন অর রশিদ নামের এক বাসিন্দা বলেন, আমরা একাধিকবার মিলটি নিয়ে সরকারি নানা দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু এটির কোন সুরাহা হয়নি। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়িতে থাকতে পাচ্ছি না। বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী বলেন, এই কারখানার বিকট শব্দের কারণে বাড়িতে থাকতে চরম কষ্ট হচ্ছে। কারখানা যখন চলে তখন বাড়িঘর সব কাঁপে। বিকট শব্দে আমরা একজন আরেকজনের কোন কথা শুনতে পাই না।
কারখানার বর্জ্য পানি ফেলা হচ্ছে ফসলি জমিতে। যার কারণে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। তারা আরো বলেন-এই সরু রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারি ট্রাক চলাচল করছে। এতে সড়কের ক্ষতি হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-ভেলাকোপা এলাকার মোহাম্মদ, রশিদুল ইসলাম ও হারুন অর রশিদ। বক্তারা, পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আবাসিক এলাকায় অবিলম্বে অবৈধ সুফিয়া অটো ফ্লাওয়ার বন্ধের দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, আবাসিক এলাকায় নবায়ন স্থগিত হওয়া সুফিয়া অটো ফ্লাওয়ার মিল পরিদর্শনে এসে মিল কর্তৃপক্ষের সাথে গত ৩ ডিসেম্বর ঘন্টব্যাপী বৈঠক শেষে এলাকাবাসীর কোন প্রকার মতামত না শুনে যাওয়ার প্রাক্কালে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তা। এতে ওই কর্মকর্তারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মিল বন্ধ করবে না মর্মে এলাকাবাসীকে হুমকি দেয়।
এরই প্রেক্ষিতে ওই কর্মকর্তাদের অসদচারণ ও অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, “সব মিথ্যা অভিযোগ। আমাদের স্যার নতুন হওয়ায় আমরা গতকাল কারখানাটি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম।”
কিউএনবি/আয়শা/০৪ ডিসেম্বর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:০৫