আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যেমন খদ্দের তেমন কদর— সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিউচ্ছ্বাস আর নজিরবিহীন অভ্যর্থনায় সেই সত্যটিই আবার স্বতঃসিদ্ধ করে তুলল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর যুবরাজ সালমানই একমাত্র ভাগ্যবান অতিথি যার আপ্যায়নে আতিথেয়তার অতিশয়োক্তির ছাপ পড়েছে হোয়াইট হাউজে। মাথার ওপরের আকাশ থেকে অন্দরমহলের আয়োজন— সবখানেই ছিল মনভোলানোর চমক।
রাষ্ট্রপ্রধান না হয়েও মঙ্গলবার যে সম্মান তাকে দিয়েছেন ট্রাম্প, সবচেয়ে ঘনিষ্ঠবন্ধু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু থেকে শুরু করে ইউরোপের পরমানু শক্তিধর কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের কপালেও তা জোটেনি! কিন্তু কেন এই আপ্যায়ন অতিরঞ্জন? মহা-আড়ম্বরে সেই কারণও উড়ছে ইউরোপ-আরবসহ গোটা পৃথিবীর আকাশে। এক ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য চুক্তি (প্রতিশ্রুতি)! যা বিশ্বশাসনে নয়া জোয়ার সৃষ্টি করবে মার্কিন অর্থনীতিতে। রয়টার্স, সিবিএস নিউজ।
খাবারের তালিকা:
ব্ল্যাক-টাই ডিনারে পরিবেশন করা হয়েছিল বিলাসবহুল তিন পদের খাবার। অতিথিদের দেওয়া হয় ক্রানবেরি রেলিশ ও ব্রাউনবাটার ক্রিমসহ হানিনাট স্কোয়াশ স্যুপ। প্রধান খাবারের মধ্যে আরও ছিল পিস্তাকিওক্রাস্টেড র্যাক অব ল্যাম্ব। এটি মিষ্টি আলুর পিউরে ও আনারের জুসের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। ডেজার্ট ছিল আরও লোভনীয়। মিষ্টিতে মূলত দুটি আইটেম পরিবেশন করা হয়। সেগুলো হলো— কুভার্চার চকলেট মুস পিয়ার এবং মোলায়েম ভ্যানিলা আইসক্রিম।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো হতাশ:
২০১৮ সালে ইস্তান্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর এটিই সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। অভিযোগ উঠেছিল— সালমানই খাশোগিকে হত্যার মূলহোতা। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে সালমানের এমন অভ্যর্থনায় হতাশ মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তবে ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন— প্রিন্স সালমান এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছুই জানেন না। ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, সালমান তার ‘খুব ভালো বন্ধু’ এবং মানবাধিকার বিষয়ে তার কাজ ‘প্রশংসনীয়’। ডন এর নির্বাহী পরিচালক সারা লিয়া হুইটসন বলেন, ‘সালমানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমালোচনার পরও হোয়াইট হাউসে এমন উচ্চপর্যায়ে স্বাগত পাওয়া অসাধারণ রাজনৈতিক পরিবর্তন।’
কিউএনবি/আয়শা/১৯ নভেম্বর ২০২৫,/রাত ১০:৫০