আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বৃহত্তম বন্দিশালা এল প্যাসো’র বন্দিদের নিয়মিত অপরিষ্কার দুষিত পানি এবং পচা খাবার দেওয়া হচ্ছে। অসুস্থ বন্দিরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য বুধবার এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এল প্যাসোর বন্দিশালাটি ‘ক্যাম্প ইস্ট মন্টনা’ নামেও পরিচিত। গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অবৈধ ও নথিবিহীন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ধরতে অভিযান শুরু করে মার্কিন কাস্টমস পুলিশ, পুলিশ ও আধাসমারিক বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী।
গত ১১ মাসের অভিযানে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। তাদের একটি অংশকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়, বাকিদের আটক রাখা হয় বিভিন্ন বন্দিশালায়।
ভেরোনিকা যে এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন, ক্যাম্প ইস্ট মন্টানা সেই নির্বাচনী এলাকার মধ্যেই পড়ে। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “বন্দিদের যে পানি খেতে দেওয়া হয়— তা দুষিত ও দুর্গন্ধযুক্ত। যে খাবার দেওয়া হয়, তা প্রায় সময়েই পচা থাকে। অনেক সময় স্যুয়ারেজ লাইনের ত্রুটির কারণে মানববর্জ্য বন্যার মতো ছড়িয়ে পড়ে অবর্ণনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং মরণাপন্ন রোগী ছাড়া অন্যান্য অসুস্থ বন্দিরা চিকিৎসা পায় না।”
বুধবার ভেরোনিকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ক্যাম্প ইস্ট মন্টানাসহ অন্যান্য সব বন্দিশালায় বন্দিদের পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার, যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া বন্দিরা যেন তাদের আইনজীবী ও পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে ও কারাবিধিতে একজন বন্দির যেসব সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য, সেগুলোর সবই বন্দিশালায় প্রদান করা হচ্ছে।”
সূত্র : রয়টার্স
কিউএনবি/আয়শা/১২ নভেম্বর ২০২৫,/রাত ৯:৩০