আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কারণ হিসেবে আল-শারা স্পষ্টভাবে সিরিয়ার গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের অব্যাহত দখলদারিত্বের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার সীমান্তবর্তী বেশ কিছু এলাকা দখল করে ইসরাইল।
সোমবার (১০ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে আল শারা বলেন, দামেস্কের পরিস্থিতি চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অন্যান্য দেশের পরিস্থিতি থেকে আলাদা।
তার কথায়, ‘সিরিয়ার সাথে ইসরাইলের সীমান্ত রয়েছে এবং ইসরাইল ১৯৬৭ সাল থেকে গোলান মালভূমি দখল করে আছে। আমরা এখনই সরাসরি আলোচনায় প্রবেশ করতে যাচ্ছি না। সম্ভবত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন আমাদের এই ধরণের আলোচনায় যেতে সাহায্য করবে।’
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে ২০২০ সালে ইসরাইলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে আব্রাহাম চুক্তি গৃহীত হয়। এ সময় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা নেয়ার পর সম্প্রতি আশা প্রকাশ করে বলেন যে, সিরিয়া ও সৌদি আরব উভয়ই শিগগিরই চুক্তিতে যোগ দেবে।
দামেস্কের ক্ষমতা দখলের পর আহমেদ আল-শারা সরকারের সঙ্গে দ্রুত কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। গত রোববার (৯ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফরে যান আল-শারা। এরপর সোমবার (১০ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
কিউএনবি/আয়শা/১১ নভেম্বর ২০২৫,/রাত ১০:১৯