ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে একটি ভ্যানের দরজা বিস্ফোরিত এবং একটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত গাড়ি দেখা গেছে। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা বিস্ফোরণের ভয়াবহ মুহূর্তটিকে এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যেখানে তাদের মনে হয়েছিল, যেন তারা সবাই মারা যাবেন। এমনকি কয়েকজন বলেছেন, ঘটনার পর তারা রাস্তায় মানুষের ‘শরীরের অংশ’ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেছেন।
এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করে। এর কয়েক ঘন্টা পরেই পুরনো দিল্লি এলাকায় বিস্ফোরণটি ঘটে। এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ডক্টর আদিল আহমেদ রাঠের এবং ফরিদাবাদ এলাকার দুটি বাড়ি থেকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৩৫০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটসহ বিস্ফোরকগুলো জব্দ করা হয়েছিল।
তবে কি কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। গ্রেফতারকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের চিকিৎসক আদিল রাঠেরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই উপকরণগুলো – যার মধ্যে ছিল ৩৫০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, যা সাধারণভাবে ব্যবহৃত সার যা একটি মারাত্মক বোমায় পরিণত হতে পারে। পরে তা জব্দ করা হয়।
বিস্ফোরক দ্রব্যের তদন্তে জম্মু ও কাশ্মীরের আরেকজন চিকিৎসা পেশাদার মুজাম্মিল শাকিলের নামও প্রকাশ পায়। যিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। হাসপাতালের রেকর্ড অনুসারে, তিনি ক্যাম্পাসে থাকতেন। তবে, পুলিশ ক্যাম্পাসের বাইরে কমপক্ষে দুটি বাড়ির সন্ধান পেয়েছে যার সাথে তার সম্পর্ক ছিল।
তল্লাশি চালানোর সময় পুলিশ বিস্ফোরক পদার্থ ভর্তি ১২টি স্যুটকেস পায়। বিস্ফোরক ডিভাইসের সাথে সম্পর্কিত জিনিসপত্র, যেমন ডেটোনেটর এবং টাইমারও পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাঠেরের একজন নারী সহকর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়, যার মারুতি সুজকি সুইফট হ্যাচব্যাকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং কিছু গোলাবারুদ মজুদ ছিল।
তবে এর সঙ্গে বিস্ফোরণের ঘটনার কোনো মিল আছে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়।
সূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস