আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অন্যান্য পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মতো পাল্লা দিয়ে পুনরায় পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক পোস্টে এ নির্দেশনা দেন তিনি। খবর সিএনএনের।
পোস্টে ট্রাম্প আরও জানান, খুব শিগগিরই ওয়াশিংটনের এ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। তিনি দাবি করেন, বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার সবচেয়ে সমৃদ্ধ। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া, আর তৃতীয় স্থানে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে রয়েছে চীন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, অন্যান্য দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোয় যুক্তরাষ্ট্রও এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়া সফলভাবে একটি পোসেইডন পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্ত্রটি বিশাল আকারের বিকিরণযুক্ত সমুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি করে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোকে ভয়াবহভাবে ধ্বংস করার সক্ষমতা রাখে।
ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার পর, পুতিন প্রকাশ্যে তার পারমাণবিক ক্ষমতা প্রদর্শন করেন। রাশিয়া গত ২১ অক্টোবর ‘বুরেভেস্তনিক’ নামের নতুন ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষা করে, আর ২২ অক্টোবর পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া পরিচালনা করে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ১৯৯২ সালে একটি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। সাধারণত এ ধরনের পরীক্ষা নতুন অস্ত্রের কার্যক্ষমতা যাচাই এবং পুরনো অস্ত্রগুলো কার্যকর আছে কিনা তা নির্ধারণে সহায়তা করে।
গবেষণা সংস্থাগুলোর তথ্যানুসারে, বর্তমানে বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের প্রায় ৮৭ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দখলে। এর মধ্যে রাশিয়ার হাতে রয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার, আর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রয়েছে পাঁচ হাজার একশটির মতো পারমাণবিক ওয়ারহেড।
কিউএনবি/অনিমা/৩০ অক্টোবর ২০২৫,/সকাল ১০:০৯