আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন ২০০১ সালে মার্কিন অভিযানের সময় আফগানিস্তানের তোরা বোরা পাহাড় থেকে নারীর বেশে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মকর্তা জন কিরিয়াকু ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেছেন।
কিরিয়াকু বলেন, ‘প্রথমে বলতে হয়, ওই সময়টাতে যুক্তরাষ্ট্র ঘটনা ঘটার পর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, আগ বাড়িয়ে কিছু করেনি। মনে আছে, আফগানিস্তানে বোমা হামলা শুরু করার আগে আমরা এক মাসের বেশি সময় অপেক্ষা করেছি। আমরা সচেতনভাবে কাজ করতে চেয়েছি। আমরা আবেগের বশবর্তী হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি। আমরা ওই অঞ্চলে অবস্থান নেওয়ার জন্য এক মাস অপেক্ষা করেছি।’
সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা বলেন, ‘এরপর আমরা আল-কায়েদার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত জায়গাগুলোতে হামলা শুরু করি। এগুলোর বেশির ভাগই দক্ষিণ ও পূর্ব আফগানিস্তানের পশতু অঞ্চলে ছিল। ২০০১ সালের অক্টোবর আমাদের মনে হয়েছিল যে আমরা তোরা বোরা পাহাড়ে ওসামা বিন লাদেন এবং আল-কায়েদার নেতৃত্বকে কোণঠাসা করে ফেলেছি।’
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডারের দোভাষী যে আসলে আল-কায়েদার একজন সদস্য ছিলেন, তা আমরা জানতাম না। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। তাই আমরা ভেবে বসেছিলাম, বিন লাদেনকে আমরা কোণঠাসা করতে পেরেছি। আমরা তাঁকে পাহাড় থেকে নেমে আসার জন্য বলেছিলাম।’
যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে (৯/১১) সন্ত্রাসী হামলার পর মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানের তোরা বোরা পাহাড়ে আল-কায়েদা সদস্যদের কোণঠাসা করার পর তারা পাকিস্তানে পালিয়ে যান। পরে যুক্তরাষ্ট্র ২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তানের উত্তরে অবস্থিত অ্যাবোটাবাদ শহরে ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে পায়। ২০১১ সালের ২ মে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে হত্যা করে।
ওই অভিযান এবং সে সময় যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে এএনআইয়ের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন কিরিয়াকু। আর তখনই তিনি বিন লাদেনের নারীবেশে পালিয়ে যাওয়ার দাবিটি করেছেন।
কিউএনবি/আয়শা/২৫ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ৯:৪৪