আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাত্র তিন দিনের মধ্যে কাতার, লেবানন, সিরিয়া, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন ও ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ সময়ে গাজায় একের পর এক বোমাবর্ষণে অন্তত ১৫০ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ
সোমবার থেকে শুরু হওয়া গাজা হামলায় সোমবারই ৬৭ জন নিহত ও ৩২০ জন আহত হন। মঙ্গলবার নিহত হন আরও ৮৩ জন এবং আহত হন ২২৩ জন। নিহতদের মধ্যে অনাহারে মারা যাওয়া শিশুরাও রয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী উচ্চ ভবন, আবাসিক ভবন ও অবকাঠামো ধ্বংস করছে, ফলে বহু মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৬৪,৬৫৬ ছাড়িয়েছে।
কাতার ও লেবানন
মঙ্গলবার কাতারের দোহায় হামাস নেতাদের একটি বৈঠক লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে নিহত হন অন্তত ছয়জন, যদিও শীর্ষ নেতারা বেঁচে গেছেন। লেবাননের বেকা ও হারমেল জেলায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হন।
সিরিয়া, তিউনিসিয়া ও ইয়েমেন
সিরিয়ায় হোমস ও লাতাকিয়ার সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। তিউনিসিয়ার উপকূলে গাজা ফ্লোটিলার জাহাজে ড্রোন হামলা হয়েছে, তবে হতাহতের খবর নেই। ইয়েমেনের সানায় হুথি অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়, যার ফলে বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানাচ্ছে, চলতি বছরে এসব হামলা ইসরায়েলের ষষ্ঠ থেকে সপ্তম আন্তর্জাতিক অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। হামলায় বহু লোকের প্রাণহানি ও বিনাশের ঘটনা সংঘটিত হলেও আন্তর্জাতিকভাবে স্বাধীন যাচাই এখনও পুরোপুরি করা সম্ভব হয়নি।
কিউএনবি/আয়শা/১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /রাত ৮:৩৩