ডেস্ক নিউজ : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নির্মাণাধীন পাকা সড়কে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ফলে সড়কে ফাটল দেখা দিলে পরে পানি নিষ্কাশনে রাতে স্থানীয় কিছু লোক রাস্তাটি কেটে দেয়। উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নে নবীগঞ্জ মাহেল আলম পাকা সড়কে এমন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চিত্র দেখা গেছে। শুরু থেকে কাজটি মেকাডম পর্যন্ত উন্নীত হলেও এখন কাঠের সাঁকোই ভরসা।
অফিসসূত্রে জানা যায়, মাহে আলম সড়কটি ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকায় বরাদ্দ হয়। এর বিপরীতে মেসার্স আলী ট্টেডার্সের পক্ষে কাজ করেন মো. কবির হোসেন। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মেঘনা নদীর ভাঙনে শিকার পরিবারসহ জনগুরুত্ব ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এটি। সড়কটি পাকা করণে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো। গত ১-২মাস আগে সড়কটি পাকা করণে কাজ চল ছিলো। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিসের তদারকির অভাবে রাস্তাটি নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত স্নান দিয়ে ফাটল দেখা দেয়। এতে চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগ বেড়ে যায়।
স্থানীয় নাছির মাস্টার জানান, দীর্ঘদিন পর রাস্তাটি পাকা হতে চলেছে। পানি চলাচলে সড়কটি কেটে দেওয়ায় দশ মিনিটের পথ এখন দুঘণ্টা সময় লাগে। ২০ টাকার ভাড়া এখন প্রায় ১০০-২০০ টাকা। একদিকে সময় অপচয়; অন্যদিকে নির্ধারিত ভাড়ার পাঁচ থেকে দশগুণ গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। একইভাবে দুঃখ-কষ্টের কথা ব্যক্ত করেন আবুল কাশেম, জামাল মাঝি, তরিকুল ইসলামসহ অনেকে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরলরেন্স-উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী চরকালকিনি ও চরমার্টিনের সাথে। এতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে নাকালে পড়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সদ্য চলমান পাকা সড়কের মাঝে কাঁঠের সাঁকো। স্থানীয়রা নিজস্ব অর্থায়নে জোড়া- তালি দিয়ে সাঁকো দিয়েছেন। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বাজার ও মসজিদ মুখী মানুষের যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যা। বিশেষ করে প্রসূতি রোগীদের জন্য কঠিন অবস্থা।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. কবির হোসেন বলেন, টেন্ডার পাওয়ার পর রাস্তার কাজটি আমি করেছি। চলমান কাজের মধ্যে কে বা কারা রাতের আঁধারে রাস্তাটি কেটে দেয়। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল কাদের মোজাহিদ বলেন, লরেন্স ইউনিয়নে নির্মাণাধীন মাহে আলম সড়কটি কেটে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে আমরাও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি।
কিউএনবি/আয়শা/০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /রাত ৮:৪৫