বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ায় মাহফিজুর রহমান সাগর কে সংবর্ধনা

আর কে আকাশ,পাবনা প্রতিনিধি
  • Update Time : সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫
  • ১০৬ Time View

আর কে আকাশ,পাবনা প্রতিনিধি : ইংলিশ চ্যানেল বিজয়ী পাবনার কৃতি সন্তান সাতারু মাহফিজুর রহমান সাগর কে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। বেলা ১১ টায় দ্বীপচর জিনিয়াস প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।জিনিয়াস প্রি-ক্যাডেট স্কুলের উপদেষ্টা আব্দুল কাদের মিঠুর পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মহরম হোসেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, রোটারিয়ান আলতাফ হোসেন, সাতারু সাগরের সহধর্মিনী ক্রীড়াবিদ নাইমা রহমান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক জিন্নাহ মালিথা, নাসিম হায়দার, আব্দুস সাত্তার মৃধা প্রমূখ। এসময় সাঁথিয়া জোড়গাছা কলেজের প্রভাষক শফি কামাল, সাংবাদিক আর কে আকাশসহ জিনিয়াস প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তব্যকালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া প্রসঙ্গে মাহফিজুর রহমান সাগর বলেন, একেবারে ছোটবেলা থেকে ব্রজেন দাসের ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার গল্প পড়েছি ও শুনেছি। যখন সাঁতারু হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করি তখন আরেক কিংবদন্তী সাঁতারু মোশাররফ হোসেন খানের ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার বিষয়টি জেনেছি। আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করব। সেটা অবশেষে করতে পেরেছি। একজন মানুষ যখন দীর্ঘদিন থেকে একটি স্বপ্ন লালন করে, সেটা বাস্তবায়ন হলে অনুভূতির ভাষা থাকে না। আমারও অনেকটা তাই। সংবর্ধনা দেয়ায় তিনি জিনিয়াস প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য ব্রজেন দাস, আবদুল মালেক, মোশাররফ হোসেনের পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন বাংলাদেশের আরও দুই সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেল। ৬ জনের রিলে ১২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট সময়ে ইংল্যান্ড থেকে ফ্রান্স প্রান্ত স্পর্শ করেছেন তারা।এশিয়ার প্রথম সাঁতারু হিসেবে ১৯৫৮ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে ছয়বার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন বাংলাদেশের ব্রজেন দাস। এরপর ১৯৬৫ সালে আবদুল মালেক ও ১৯৮৭ সালে মোশাররফ হোসেন সফলভাবে পাড়ি দিয়েছিলেন এই চ্যানেল। সর্বশেষ বাংলাদেশের দুই সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেল চ্যানেলটি পাড়ি দিয়েছেন।উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের যে অংশটি যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে আলাদা করেছে, তার সবচেয়ে সরু অংশটি ৩৪ কিলোমিটারের মতো চওড়া। এটিই বিশ্বের কাছে ইংলিশ চ্যানেল নামে পরিচিত। এই চ্যানেল পাড়ি দেওয়া একজন সাঁতারুর জন্য যেমন কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং কাজ, তেমন মর্যাদারও।

কিউএনবি/অনিমা/১১ আগস্ট ২০২৫/বিকাল ৪:৫১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit