লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : শুধু ডিম নয়, লাইফস্টাইল বিচার করলে দেখা যায়, আমেরিকায় এমন অনেক কিছু রয়েছে যা ইউরোপ থেকে একেবারেই আলাদা। যেমন ধরুন, মেট্রিক পদ্ধতি আর ইম্পেরিয়াল ইউনিটের ব্যবহার।
আমেরিকায় ইম্পেরিয়াল ইউনিটের ব্যবহার বেশি। অন্যদিকে ইউরোপে ম্যাট্রিক পদ্ধতি বেশি ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। ইউরোপ থেকে আমেরিকা আরও যেসব বিষয়ে আলাদা সেগুলোর মধ্যে অন্যতম রাস্তার ডান পাশে গাড়ি চালানো আর ফ্রিজে ডিম রাখা।
আমেরিকানরা মূলত দুটি কারণে তারা ডিম রিফ্রিজারেট করেন।
প্রথমত, ডিম যেন দ্রুত পচে না যায়। আর দ্বিতীয়টি হলো সালমোনিলা নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে বাঁচা। ইতিহাস থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে খাবারের মাধ্যমে ছড়ানো সবচেয়ে কমন ব্যাকটেরিয়া হলো সালমোনেলা। আর তাই সালমোনেলা থেকে রক্ষা পেতে আমেরিকায় বহুদিন ধরেই ডিম ধোয়া, স্যানিটাইজ করা এবং রেফ্রিজারেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারণ হিসেবে তাদের ব্যাখ্যা হলো-
ডিমের খোসা অনেক বেশি ছিদ্রযুক্ত। ফলে একবার ধোয়ার পর ফ্রিজে না রাখলে খোসা ভেদ করে জীবাণু ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।
তাহলে প্রশ্ন হলো ইউরোপে ডিম ফ্রিজে রাখা হয় না কেন?
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ম অনুযায়ী, দোকানে বা বাসায় ডিম সাধারণত ঘরের তাপমাত্রাতেই রাখা হয়। এর পেছনের মূল কারণ হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে ডিম ধোয়ার নিয়ম বাধ্যতামূলক নয়।
যার ফলে ইউরোপীয়ানরা ডিম পানিতে ধুয়ে, স্যানিটাইজ করে সংরক্ষণ করেন না। বরং প্রাকৃতিকভাবেই পাত্রে সংরক্ষণ করেন। এতে করে ডিমের প্রাকৃতিক আবরণ কিউটিকল আবরণ সুরক্ষিত থাকে এবং এটি ব্যাকটেরিয়া প্রবেশে বাধা দেয়। আর সে কারণেই ফ্রিজে ডিম সংরক্ষণ করেন না ইউরোপীয়ানরা।
কিউএনবি/আয়শা/৯ আগস্ট ২০২৫/দুপুর ২:৫০