স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মশি^মনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির ভাইকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি চক্র বাদীকে ম্যানেজ করে যৌন নিপীড়ন মামলা করিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ দিকে বিএনপি নেতা আবদুল খালেকের ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মুলক মামলা করায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মশি^মনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির আব্দুল খালেকের ভাই জালাল উদ্দিন(৬০) স্থানীয় দারুল কোরআন বালক-বালিকা কওমী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসছেন। মোট ৩০ জন শিক্ষার্থী মাদ্রাসার আবাসিকে থেকে পড়াশনা করে। গত ৩০ জুলাই সকালে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুন ৭ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে দিয়ে জালালের অসুস্থ্য মায়ের জন্য মাদ্রাসার পাশেই বাড়িতে খাবার পাঠান।
খাবার দিয়ে ওই ছাত্রী প্রতিষ্ঠানে চলে আসে। তখন জালাল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়া জন্য বহনকারি গাড়ি নিয়ে এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এমনটি জানাগেছে স্কুল শিক্ষক জুলফিকার আলী, ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান, মাদ্রাসার ছাত্রীসহ এলাকাবাসীর কাছ থেকে। কিন্তু এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত ২ আগস্ট থানায় জালালের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে খাবার দিতে গেলে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে জালাল যৌন নিপীড়ন ঘটায়। ফলে ওই রাতেই পুলিশ জালালকে আটক করে জেল হাজতে পাঠান।
স্থানীয় যুবক রাজিব, রানাসহ অনেকেই জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সুদে কারবারি আবদুল কাদের ওই ছাত্রীর মাকে ম্যানেজ করে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় আসামি করে বিএনপি নেতা আবদুল খালেকের পরিবারকে হয়রানি করছে। তবে মামলার প্রধান স্বাক্ষী ওই ছাত্রীর সহপাঠী মিম ও আছিয়া খাতুন জানান, তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেননা। এ ব্যাপারে জানতে বাদীর বাড়িতে গেলেও মা-মেয়েকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধীক ব্যক্তি জানিয়েছেন মামলার পর থেকে বাদী ও তার মেয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাদেরের হেফাজতে।
তবে আবদুল কাদের এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেননা। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল খালেকের অভিযোগ, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা ছিল আমার উপর।
এরপরও আমি বিএনপির প্রতিটি আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। দলের প্রতি আমার কর্তব্য ও একনিষ্ঠতা দেখে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একটি পক্ষ আমাকে ঘায়েল করতে এ মিথ্যা মামলা দিয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার এসআই মোহাম্মাদ মাসুম বলেন, মামলাটি তদন্তে রয়েছে। তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হলে মামলান থেকে জালালকে বাদ দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে থানার ওসি বাবলুর রহমান খান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিউএনবি/আয়শা/৭ আগস্ট ২০২৫/রাত ১০:৪০