ইরানের একটি প্রতিনিধিদল গত বছর রাশিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে তারা দ্বৈত-ব্যবহারের প্রযুক্তি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। ওই প্রতিনিধিদলে ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীরা ছিলেন। যারা একটি নিষিদ্ধ সামরিক গবেষণা ইউনিটের সাথে যুক্ত।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস গোপন সূত্রের বরাতে এ তথ্য ফাঁস করে। এর বরাতে ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানায়, ২০২৪ সালের আগস্টে এই সফরের নেতৃত্বে ছিলেন ৪৩ বছর বয়সী ইরানি পারমাণবিক পদার্থবিদ আলি কালভান্দ। তিনি কূটনৈতিক পরিষেবা পাসপোর্টে মস্কোতে এসেছিলেন। তার সাথে ছিলেন আরও চারজন।
তখন কালভান্দ বলেছেন, তারা একটি বেসরকারি পরামর্শদাতা সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কিন্তু এখন পশ্চিমা কর্মকর্তারা জানান, প্রতিনিধিদলটিতে একজন সামরিক কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স অফিসার এবং ইরানের প্রতিরক্ষামূলক উদ্ভাবন ও গবেষণা সংস্থা (এসপিএনডি) এর সাথে যুক্ত সদস্যরা ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ‘২০০৪-পূর্ববর্তী ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির সরাসরি উত্তরসূরি সংস্থা’ হিসেবে এসপিএনডির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে।
ইরান নিজেই দীর্ঘদিন ধরে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধানের কথাও অস্বীকার করে আসছে। দেশটি বলেছে, তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। খামেনি গত মাসে বলেছিলেন, পশ্চিমারা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সংঘাতের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে। অথচ ধর্মগতভাবে আমরা নিজেরাই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরোধী।
অনলাইন নিউজ ডেক্সঃ
কুইক এন ভি/রাজ/০৭ আগস্ট ২০২৫/বিকালঃ ০৫.২০