ডেস্ক নিউজ : স্থানীয়রা জানান, বছরের পর বছর খননের অভাব ও তদারকির ঘাটতিতে নদীগুলো রূপ নিচ্ছে মরা খালে। কোথাও হাঁটুজল, আবার কোথাও শুকিয়ে যাওয়া নদীর জমিতে চলছে চাষাবাদ। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় জীবিকা হারাচ্ছেন বহু জেলে, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মাছ ধরা ও নৌ চলাচল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর তীরবর্তী জমি দখল করে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে নির্মাণ করছেন স্থাপনা। এসব দখলের ফলে নদীর সীমানা ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। তারা দ্রুত নদী খনন ও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম যাকারিয়া বলেন, ‘নদী রক্ষায় খনন অত্যন্ত জরুরি। আমরা ইতোমধ্যে খননের জন্য তালিকা তৈরি করেছি। পাশাপাশি দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁও জেলার ৩৬টি নদী ও খালের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৬ দশমিক ৩৯৬ একর জমি ইতোমধ্যে দখল হয়ে গেছে।
নদী রক্ষায় প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ এবং নিয়মিত খননের বিকল্প নেই এমনটাই মনে করছেন পরিবেশবিদ ও সচেতন মহল।
কিউএনবি/আয়শা/৫ আগস্ট ২০২৫/রাত ১০:৩০