ডেস্ক নিউজ : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপি কার্যালয়ের ভাড়া চাওয়ায় জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক মৎস্যজীবী দলের নেতাকে শাটার ফেলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বড় ছেলে মো. রাসেল ভূঁইয়া। গত বুধবার (২৯ জুলাই) উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের সালমদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
জাহাঙ্গীর হত্যার বর্ণণা দিয়ে ছেলে রাসেল বলেন, ‘ভাড়া না পাওয়ায় গত তিন মাস ধইরা আমরা তোতা মিয়ারে দোকান ছাড়তে বলতাছিলাম। উনি কোনোভাবেই টাকা দিতেছিল না। বুধবার সকালে আমি আর আব্বা দোকানে যাইয়া শাটারে কাম করাইতেছিলাম। আমরা চাইতেছিলাম, দোকানটা ঠিক কইরা নিজেরাই চালামু। আব্বারে রাইখা আমি বাড়ি আইসা পড়ি। ঘণ্টাখানেক পরে শুনি, তোতা মিয়া আর ওনার ভাই-ভাতিজারা মিল্লা আব্বারে পার্টি অফিসের শাটার ফালাইয়া পিটাইছে। আমি দৌড়াইয়া যাইয়া শুনি, তোতা মিয়ার লোকজন আব্বারে নিয়া হাসপাতালে গেছে। তারপর হাসপাতাল যাইয়া আব্বার লাশ দেখতে পাই।’
নিহতের মেয়ে নিলুফা আক্তার বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। ঘটনার পর বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমাদেরকে কেউ সান্ত্বনা পর্যন্ত দিতে আসেনি। অথচ আমার বাবাও বিএনপির মিছিল মিটিংয়ে যেতেন।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মেহেদী ইসলাম বলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন হত্যাকাণ্ডে তার স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় নয়জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আট থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এই মামলায় এরইমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা সবসময় তাদের পাশে আছি।
কিউএনবি/অনিমা/২ আগস্ট ২০২৫/বিকাল ৪:০৫