আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বৃহস্পতিবার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলায় পাঁচ শিশুসহ কমপক্ষে ৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার এমন তীব্র আক্রমণকে ‘বিরক্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়া যা করছে, আমি মনে করি, তা বিরক্তিকর। আমি মনে করি, এটা সত্যিই জঘন্য।’
ট্রাম্প আরও জানান, তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, যিনি বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছেন, তাকে পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে রাশিয়া পাঠানো হবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইতোমধ্যেই মস্কোতে একাধিকবার উইটকফের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যদিও ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা পরে থেমে যায়।
ওয়াশিংটন মস্কোকে আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ ইউক্রেনে আক্রমণ বন্ধ করতে আল্টিমেটাম দিয়েছে। তা না হলে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
বৃহস্পতিবার আবারও সেই সময়সীমা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমরা নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছি। যদিও আমি জানি না, নিষেধাজ্ঞায় ওর (পুতিনের) কিছু আসে যায় কি না।”
তিনি আরও বলেন, নতুন পদক্ষেপ হিসেবে রাশিয়ার বাকি বাণিজ্যিক অংশীদার যেমন-চীন ও ভারতের ওপর ‘দ্বিতীয়িক শুল্ক’ আরোপ করা হতে পারে। এই পদক্ষেপ রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করলেও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের শুরুটা ছিল আশাবাদী, তিনি বলেছিলেন ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হবে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তিনি ক্রমাগত পুতিনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন রাশিয়ার অপ্রতিরোধ্য হামলা অব্যাহত থাকার কারণে।
অন্যদিকে, পুতিন শুক্রবার বলেন, ইউক্রেনে “স্থায়ী ও স্থিতিশীল শান্তি” চান তিনি। যদিও মস্কোর শান্তির শর্ত আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। এদিকে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ফের নেতৃবৃন্দের মধ্যে সরাসরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন।
পুতিন বলেন, “আমরা এমন একটি টেকসই ও স্থিতিশীল শান্তি চাই যা রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয় দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।”
জেলেনস্কি শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, “আমরা জানি, রাশিয়ায় কে সিদ্ধান্ত নেন এবং কে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারেন।” তিনি আগস্টের মধ্যেই বৈঠকের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেন। সূত্র: আলজাজিরা
কিউএনবি/অনিমা/২ আগস্ট ২০২৫/সকাল ১০:৪৪