ডেস্ক নিউজ : তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, জিও ব্যাগসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা। সরেজমিনে দেখা যায়, নেত্রকোনা জেলার অন্যতম নদী মগড়া। শহর ছাড়িয়ে আটপাড়া উপজেলার ভেতর দিয়ে মদন উপজেলা হয়ে ধনু নদীতে মিশেছে। কিন্তু নদীর ভাঙনের ফলে গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। চলছে গ্রামের পর গ্রাম ভাঙন। ইতিমধ্যে কয়েকটি গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার বাড়ি ঘর নিয়ে অন্যত্র। কিন্তু অব্যাহত ভাঙনের শিকার চার থেকে পাঁচটি গ্রামের মানুষ আতঙ্কে কাটাচ্ছে দিন। অনেক সড়কের অর্ধেক চলে গেছে নদী গর্ভে। খনন না করায় নদীর পানি ধারণ ক্ষমতার বাইরে থাকে বর্ষায়। ফলে এদিক ওদিক ভাসিয়ে নেয় প্রতিবছর।
উপজেলার শুনুই ইউনিয়নের কালিয়াখালি, গোয়াতলা, ভরতুশি, ছারিয়া, মহিষপুরসহ নাজিরগঞ্জ সড়কের বেশিরভাগ হুমকির মুখে। এসব এলাকার অনেক পরিবার ঘর বাড়ি হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। যারা এখনও রয়েছেন তারা কোনো রকমে টিকে আছেন। যে কোনো সময় নদীগর্ভে চলে যেতে পারে তাদের স্থাপনাও। ঝুঁকি নিয়েই চলছে বসবাস। ঘরের ভেতরে শিশুদের বন্দি করে রাখতে হয়। দোয়ার খুললেই নদী। এমন অবস্থায় দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ পারছেন না অন্যত্র যেতে। ফলে তাদের ঝুঁকি রয়েই গেছে। যে কোনো সময় বসতি ভাসিয়ে নিতে পারে। এমন আতঙ্কে শিশু বাচ্চাকে কোলে নিয়েই সময় যায়।
নদীর পাড় ধরে পেছাতে পেছাতে আর সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান গৃহবধূ মোছা. সাথী আক্তার। আড়াইকাঠা জায়গা ছিল এখন এক খুচিও জায়গা নাই বলেন সত্তরোর্ধ্ব নুরজাহান। আনিসুর রহমান বলেন, ‘নদীর ওই পার থেক এসে এই পাড়ে বাড়ি করেছি। ১৪ কাঠা জায়গা আমার এই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা আবেদন করেও সরকার কোনো ভ্রুক্ষেপ করছে না। প্রায় ২০০ মানুষ অন্যত্র চলে গেছে। আমাদেরও হয়তো চলে যেতে হবে। বারবার চেষ্টা করেও কোনো সমাধানই পাচ্ছি না।’
কিউএনবি/আয়শা//১৩ জুলাই ২০২৫,/বিকাল ৪:৪০