মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ফুলের মতো পবিত্র মানুষগুলোই আপনাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে”–কুড়িগ্রামে পথসভায় ব্যারিস্টার ফুয়াদ কিম বাহিনীর সঙ্গে উত্তেজনা, প্রতিরক্ষা জোরদারের ঘোষণা দক্ষিণ কোরিয়ার মাশরাফি-সাকিবের রেকর্ড ভেঙে রিশাদের ইতিহাস ট্রফি ফিরে পেতে নকভিকে ভারতের চিঠি নোয়াখালীতে বিনা ভোটে বিজয়ী হতে নমিনেশন ফরম ছিঁড়ে প্রার্থীর ভাইকে মারধর পাঁচপুকুরিয়ায় মিঠুন দম্পতির অসামাজিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ফুলবাড়ীতে গ্রামপুলিশ কর্তৃক শিক্ষককে মারপিটের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ফুলবাড়ীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার যোগদান চৌগাছায় কৃষকের আত্মহত্যা ভূরুঙ্গামারীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ সমাবেশ

ডিমে চাঙাভাব, খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা ডজনে

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫
  • ৫৩ Time View

ডেস্ক নিউজ : রাজধানীর বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম হঠাৎ কমে যাওয়ায় বেড়েছে চাহিদা ও বেচাকেনা। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা কমে যাওয়ায় অনেক দোকানে এখন ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। এদিকে চাহিদার পাশাপাশি সরবরাহও সমানতালে বাড়তি থাকায় ডিমের বাজারে অনেকটাই চাঙাভাব ফিরে এসেছে। তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা সতর্ক করছেন, দামে ভারসাম্য না থাকলে ভবিষ্যতে বাজার আবার অস্থির হতে পারে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রী এলাকার বাজার ঘুরে দেখা এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। তবে কিছু দোকানে পরিচিত ক্রেতাদের কাছে ১০৫ টাকায়ও বিক্রি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতি পিসে দাম পড়ে ৮ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৯ টাকা ৫০ পয়সা।

বাজার বিশ্লেষণ ও পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বর্তমানে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে। এটি ঈদের আগে ছিল ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা পর্যন্ত। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম এখন ৮ টাকা থেকে ৮ টাকা ৮০ পয়সা। ডিম কিনতে আসা সরকারি কর্মকর্তা আফসার উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে প্রোটিনজাত পণ্যের মধ্যে ডিমই সবচেয়ে সাশ্রয়ী। আগে প্রতি সপ্তাহে এক ডজন নিতাম, এখন ২ ডজন নিচ্ছি। কারণ দাম এখন নাগালের মধ্যে।’ তিনি বলেন, ‘১০৫ টাকা ডজনে ডিম পেয়ে খুশি। দাম কম থাকলে ঘরে পুষ্টিকর খাবার রাখা সহজ হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডিম এমন একটা পণ্য, যেটা বাচ্চা থেকে বয়স্ক—সবাই খেতে পারে। আগে আমরা এক ডজন নিতাম সপ্তাহে, এখন ২ ডজন নিয়ে রাখছি। কারণ এটা প্রোটিনের সহজ উৎস, রান্নাও ঝামেলাহীন।’ ডিম বিক্রেতা নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘ঈদের পর দাম কমতেই বিক্রি বেড়ে গেছে। আগে দিনে ৩ হাজার ডিম বিক্রি করতাম, এখন ৫ হাজারের কাছাকাছি যাচ্ছে। পরিচিতদের ডজন ১০৫ টাকায় দিচ্ছি। লাভ কম, কিন্তু বিক্রি ভালো হচ্ছে।’

তিনি জানান, ‘গত সপ্তাহেও প্রতি ডজন বিক্রি হয়েছে ১২৫ টাকায়, এখন খুচরা বাজারে ১১৫ টাকা। কেউ বেশি নিলে দাম আরও একটু কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’রামপুরা বাজারের এক ডিম সরবরাহকারী জানান, ‘পাইকারিতে এখন প্রতি ডিম ৮ থেকে ৮ টাকা ৮০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় চাহিদা বাড়ায় সরবরাহও বাড়াতে হচ্ছে। অনেক ছোট দোকান এখন আগের চেয়ে দ্বিগুণ অর্ডার দিচ্ছে।’নাসির উদ্দিন নামক আরেক বিক্রেতা বলেন, ‘বিক্রি বাড়ছে, এটা ভালো। তবে খামারিরা যেন প্রাপ্য দাম পান, সে দিকটাও দেখতে হবে। না হলে খামারিরা বাঁচবে না, আবার কয়েক মাস পর ডিমের সংকট তৈরি হবে।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতি ডজন ডিমের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছিল ১৪২ টাকা, অর্থাৎ প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৫ পয়সা। যদিও সেই দাম বাজারে স্থায়ী হয়নি, বরং মাঝে মাঝেই ওঠানামা করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজারে দাম কিছুটা কমলেও চাহিদা ও বিক্রি বাড়ায় সামগ্রিক চিত্র স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

কিউএনবি/আয়শা//১১ জুলাই ২০২৫,/বিকাল ৫:২৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit