বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেতানিয়াহু প্রশাসনের হাসিনার পালানোর দৃশ্য ও যেসব স্মৃতির সাক্ষী হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ টেলিকম নীতিমালায় সরকারের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তে বিএনপির উদ্বেগ হংকংকে হারিয়ে বাংলাদেশের উড়ন্ত সূচনা মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের রপ্তানি খাতে সংস্কারের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি সহযোগিতা করছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন আবারও ককটেল বিস্ফোরণ এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ কোন সবজি খেলে লিভার থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়, জানালেন চিকিৎসক এরোড্রামা কর্মকর্তা জাহিদুলকে বেবিচকের বিশেষ সম্মাননা

হাসিনার পালানোর দৃশ্য ও যেসব স্মৃতির সাক্ষী হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
  • ৬ Time View

ডেস্ক নিউজ : জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়। এখন চলছে জাদুঘরের জন্য স্মারক সংগ্রহের কাজ। আগামী ৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাদুঘরটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে জুলাই আন্দোলনের স্থিরচিত্র, বিভিন্ন স্মারক, নানা উপকরণ, শহীদদের জামাকাপড়, চিঠি, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, ওই সময়ের পত্রিকার কাটিং, অডিও-ভিডিওসহ বিভিন্ন স্মৃতি স্মারক থাকবে। এছাড়া সেখানে বিশেষ স্থান পাচ্ছে স্বৈরাচার ও গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্যও। এ জাদুঘর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরেরই একটি অংশ।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. সাদেকুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের বিষয়টি সরাসরি মন্ত্রণালয় দেখভাল করছে। এজন্য এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে চান না। তবে উদ্বোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে। প্রধান উপদেষ্টা সশরীরে উপস্থিত থেকে জাদুঘরের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের জন্য স্মারক সংগ্রহ করতে আর্কাইভ ও কালেকশন টিম দেশজুড়ে কাজ করছে। দেশের কারও কাছে কোনো স্মৃতিস্মারক থাকলে তা জাদুঘরে পৌঁছানোর জন্য বিজ্ঞাপন সম্প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এই জাদুঘরের সংগ্রহশালা যেন জুলাইয়ে সংগঠিত ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করে দেয়, সে লক্ষ্যে সব ধরনের আয়োজন উপস্থাপনের নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

তথ্যানুসন্ধানে আরও জানা যায়, মিরপুর রোড ঘেঁষে অবস্থিত গণভবন হিসাবে পরিচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনকে রূপান্তর করা হয়েছে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর হিসাবে। গত বছরের ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯’ বাতিল করা হয়। ফলে গণভবনে থাকার আইনি অধিকার হারায় শেখ হাসিনার পরিবার। আর দায়িত্ব নিয়েই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের ভূমিকা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনকে জুলাই জাদুঘর করার প্রস্তাব করেন উপদেষ্টা পরিষদের ছাত্র প্রতিনিধিরা। এরপর গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পঞ্চম সভায় গণভবনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২ নভেম্বর তৎকালীন উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ রূপান্তরের জন্য কমিটি ঘোষণার কথা জানান। এরপর ধাপে ধাপে ওই জাদুঘরের কাজ ত্বরান্বিত হয়েছে। বছর ঘুরতে যা উদ্বোধনের দোরগোড়ায়।

সরেজমিন জানা যায়, গণভবনের সীমানা প্রাচীরের কাজ কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে। আবার কোথাও আগের অবস্থায় রয়েছে।দায়িত্বপ্রাপ্তদের কয়েকজন জানান, ছাত্র-জনতার জনস্রোতে ৫ আগস্ট গণভবনে যে ভাঙচুর হয়েছে, তা আগের অবস্থায় রেখে দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য জায়গায় নতুন স্থাপত্য নকশায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিছু পূর্তকাজ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এর প্রায় ৭০ শতাংশ শেষ। বাকি কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। কম সময়ের মধ্যে সেসব কাজও শেষ হবে। তারা বলেন, গত জুলাই-আগস্টে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পরই গণভবনের ফটক আক্ষরিক অর্থেই খুলে গিয়েছিল। উল্লসিত জনতার মিছিল ঢুকে পড়ে গণভবনে।

ভবনটির শোয়ার ঘর থেকে শুরু করে পুরো ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের অবাধ বিচরণক্ষেত্র ও উৎসবের কেন্দ্রে। তবে ৮ আগস্ট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গণভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর থেকে সরকারের অনুমতি ছাড়া সেখানে কেউ প্রবেশ করতে পারে না। বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরসংশ্লিষ্টরা জানান, গণভবনের জমির পরিমাণ ১৭ দশমিক ৬৮ একর অর্থাৎ, ৫৩ বিঘা। সেখানে দুই তলাবিশিষ্ট একটি ভবন এবং কর্মচারীদের জন্য একতলার কয়েকটি পাকা এবং সেমিপাকা স্ট্রাকচার ছিল। গত ১ জানুয়ারি গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গণভবনের বরাদ্দ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে বুঝিয়ে দেয়। এ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ গণভবনে নির্মাণাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের সার্বিক তত্ত্বাবধান করছে।

তারা আরও জানান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর ক্যাম্পাসটি এখনো ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানীতে এক টুকরো সবুজ। গণভবন হিসাবে তকমা পাওয়া ভবনটিকে নিছক একটি দালান মনে হলেও বাস্তবে অনেক বেশি কিছু। অর্ধশত বিঘা জায়গাজুড়ে অবস্থিত ওই ক্যাম্পাসে রয়েছে-লন, পুকুর, খেতসহ নানা ধরনের ফলের বাগান। প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরি হওয়া জুলাই স্মৃতি জাদুঘরটি নগরবাসীর সুস্থ বিনোদনেরও একটি জায়গা হবে। জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার বীরত্বগাথা জানার পাশাপাশি তারা মনোরম পরিবেশও উপভোগ করতে পারবেন।

 

 

কিউএনবি/আয়শা//০৩ জুলাই ২০২৫,/কিকাল ৩:৫৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit