ডেস্ক নিউজ : পটিয়ায় আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর দুই দফা লাঠিপেটা করার ঘটনায় পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নুর, এডিশনাল এসপি আরিফুল ইসলাম, এডিশনাল এসপি (ক্রাইম) সিরাজুল ইসলামকে চাকরি থেকে অপসারণের দাবিতে ঢাকা-কক্সবাজার মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়েছেন ছাত্ররা। বুধবার বেলা ১১টা থেকে এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যানবাহনের সারি দীর্ঘ হয়েছে। আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন চট্টগ্রাম ও জেলা এনসিপি এবং ছাত্রনেতারা।
এর মধ্যে রয়েছেন- দক্ষিণাঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক জুবায়রুল হাসান আরিফ, চট্টগ্রাম মহানগর মুখ্য সংগঠক তৌসিফ ইমরোজ, মহানগর সংগঠক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, মহানগর সদস্য নিজাম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য খান তালাত মাহমুদ রাফি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক জুবায়ের হোসেন। দক্ষিণ জেলার সচিব মোহাম্মদ সাঈদ, উত্তর জেলার আহবায়ক মো. আরেফিনসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা।
চট্টগ্রাম মহানগর সংগঠক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পটিয়া থানার ওসি, পটিয়ার এডিশনাল এসপি আরিফুল ইসলামকে চাকরি থকে অব্যাহতি দিতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। গণঅধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক ডা. এমদাদুল হাসান, কেন্দ্রীয় উচ্চতর পরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন আকাশ আন্দোলনে যোগ দেন। ডা. এমদাদের দাবি, মঙ্গলবার যে লাঠিচার্জ করা হয়েছে; তার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।
ছাত্রদের দাবি তাদের ওপর দুই দফায় হামলা করা হয়েছে মঙ্গলবার রাতে। প্রথম দফায় রাত ১০টায় রাঙামাটি জেলা যুবলীগ নেতাকে নেওয়া হলে ছাত্রদের লাঠিপেটা করা হয়। এর প্রতিবাদে ছাত্ররা থানার গেটে অবস্থান নিলে রাতে এডিশনাল এসপি সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলার রিজার্ভ পুলিশ এসে দ্বিতীয় দফায় হামলা করে। এতে আহতের সংখ্যা বাড়ে। দুই দফায় প্রায় ১১ জনের বেশি আহত হয়।
পটিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি তালহা রহমান জানান, তারা সকালে অবস্থান নিলে সেখানে এক নারী আন্দোলনকারী আহত হন। এরপর তারা আন্দোলন বেগবান করেন এবং মহাসড়কে অবস্থান নেন। জেলা, মহানগর ও কেন্দ্রীয় ছাত্র প্রতিনিধি, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতারা যোগ দেন। নেতারা আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ নেতা দীপংকর দেকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীরা। ওই ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় হস্তান্তর নিয়ে বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডা হয়। পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে বৈষম্যবিরোধীদের লাঠিপেটা করে থানা কম্পাউন্ড থেকে বের করে দেয়। এর একপর্যায়ে ছাত্রদের ওপর প্রথম দফায় হামলার অভিযোগ উঠে। রাত দেড়টার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা হয় বলে জানানো হয়।
সকালে পটিয়া থানার সম্মুখে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে বলপ্রয়োগ করলে এক নারী আন্দোলনকারী আহত হন বলে দাবি করা হয়। এরপর বেলা ১১টার দিকে তারা ইন্দ্রপুল বাইপাস এলাকার ঢাকা-কক্সবাজার মহাসড়কে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে বন্ধ হয়ে যায় মহাসড়কটি দিয়ে যান চলাচল। এ বিষয়ে জানতে পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নূর ও এডিশনাল এসপিকে (পটিয়া সার্কেল) একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
কিউএনবি/আয়শা//০২ জুলাই ২০২৫,/রাত ৮:০২