রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা প্রচারে পবা উপজেলায় উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ নতুন মৌসুমে নিজের লক্ষ্যের কথা জানালেন ওলমো হিজবুল্লাহ অস্ত্র সমর্পণ করবে না, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধেই থাকবে মোহরে ফাতেমি কী, বর্তমান কত টাকা? এশিয়া কাপে বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ আবুধাবিতে জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদনে আগ্রহ নেই মানুষের, জানালো জাতিসংঘ ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারবেন ৮ ফল, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের আজওয়া খেজুরের উপকারিতা নিয়ে হাদিসে যা বলা হয়েছে দেশ নিয়ে যে আকাঙ্ক্ষা ছিল তার অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়নি: সারজিস ঐকমত্য হলে ৮ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে: উপদেষ্টা আসিফ

৫ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করা বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫
  • ২১ Time View

ডেস্ক নিউজ : কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম (৯২) বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোরে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনির বাড়িতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। বিকেলে আসরের নামাজ শেষে নিকলীর গুরুই ঈদগাহ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং গুরুই শাহী মসজিদের পাশের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

সখিনা বেগমের জন্ম নিকলী উপজেলার হাওর অধ্যুষিত গুরুই গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই স্বামী কিতাব আলী মারা যান। নিঃসন্তান সখিনা বেগম ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

যুদ্ধে তার ভাগ্নে মতিউর রহমান সম্মুখসমরে শহীদ হলে সখিনা বেগম প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন। তিনি বসু বাহিনীর ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন এবং রাজাকারদের গতিবিধি নজরদারি করে মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য দিতেন। একপর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও কৌশলে পালিয়ে আসেন। পালানোর সময় সাথে নিয়ে আসেন একটি ধারালো দা। সেই দা দিয়ে পরবর্তীতে তিনি পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন। ঐতিহাসিক সেই দাটি বর্তমানে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

একাত্তরের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য সখিনা বেগমকে বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব প্রদান করা হয়। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি বাজিতপুরের হিলচিয়ায় ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তারের সাথে বসবাস করতেন।

নিকলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তোতা মিয়া জানান, তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন সাহসী সন্তান, তার মৃত্যুতে এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কিউএনবি/অনিমা/১৭ জুন ২০২৫, /বিকাল ৩:০৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

August 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit