শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কড়াকড়ি, সর্বনিম্ন শরণার্থী গ্রহণের সীমা ঘোষণা ট্রাম্পের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৫০৬ জন শেখ হাসিনাসহ ২৬১ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি সংস্কার কমিশন বয়কট করা উচিত ছিল বিএনপির : আব্দুল্লাহ তাহের শার্শা বিএনপি’র আয়োজনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আশুলিয়ায় ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের লিফলেট বিতরণ  মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ৭৯০ বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের বিরুদ্ধে ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ গণভোট ও নির্বাচন নিয়ে যে বার্তা দিলেন প্রেস সচিব আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে ৩ হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার : ডিএমপি

অভিযোগকারী নারী নোবেলের স্ত্রী, ভুল বোঝাবুঝিতে মামলা: দাবি তার আইনজীবীর

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
  • ৩০ Time View

ডেস্ক নিউজ : নারী নির্যাতনের একটি মামলায় সঙ্গীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, নোবেল এক নারীকে সাত মাস একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করছিলেন। জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে কলে পেয়ে বাসাটি থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে নোবেলকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তবে, নোবেলের আইনজীবী জসিম উদ্দিনের দাবি, মামলার বাদী আসামির স্ত্রী। গতকাল রাত পর্যন্ত তারা একই বাসায় ছিলেন। ভুল বোঝাবুঝিতে মামলা করেছে।

এর আগে, মঙ্গলবার (২০ মে) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আদালতে তোলা হয়। তবে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন বেলা ২টা ৫০ মিনিটে এজলাসে তোলা হয় নোবেলকে। কয়েক মিনিট পর বিচারক তার আসন গ্রহণ করলে আসামিপক্ষের আইনজীবী জসীম আদালতের অনুমতি নিয়ে ওকালতনামায় আসামি নোবেলের স্বাক্ষর নেন। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার পরিদর্শক মুরাদ হোসেন তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা ইলামনি আদালতকে জানান, ভিক্টিম রাজধানীর ইডেন কলেজের ছাত্রী। তিনি মোহাম্মদপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোবেলের সাথে তার পরিচয় হয়। গত বছরের ১২ নভেম্বর গায়ক নোবেল তার স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ভুক্তভোগীকে ডেমরা থানা এলাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। এরপর কয়েকজন আসামির সহায়তায় ওই ছাত্রীকে আটকে রাখে।

নোবেলের পক্ষে তার আইনজীবী জসিম উদ্দিন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, মামলার ঘটনা গত বছরের ১২ নভেম্বর। আর বাদী আসামির স্ত্রী। গতকাল রাত পর্যন্ত তারা একই বাসায় ছিলেন। ভুল বোঝাবুঝিতে মামলা করেছে। মীমাংসার জন্য নোবেলকে থানায় ডেকে নেওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। মেয়ে লিগ্যালি তার ওয়াইফ, চার মাসের প্রেগন্যান্ট। নোবেল তার সাথে সংসার করতে চায়। আমরা যেকোনো শর্তে আপস করতে ইচ্ছুক।

এ সময় বিচারক কাবিননামা আছে কি না জানতে চান। তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, তাড়াহুড়োর কারণে কাবিননামা আনা হয়নি।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি এই আসামি সাংসারিক, ব্যক্তিজীবন নিয়ে ভালো অবস্থায় নেই। বাদী দাবি করেছেন, ইডেন কলেজে তিনি অধ্যয়নরত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পরিচয়। পরে ফোনে কথাবার্তা হয়। গত বছরের ১২ নভেম্বর তাদের দেখা হয়। আসামি বাদীকে তার ডেমরার স্টুডিওতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আটকে রেখে ২/৩ জনের সহায়তায় ধর্ষণ করে, মারধর করে।

জানা যায়, গতকাল সোমবার নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই তরুণী। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুক্তভোগী ইডেন কলেজের ছাত্রীর সঙ্গে নোবেলের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের ১২ নভেম্বর গায়ক নোবেল তার স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ভুক্তভোগীকে ডেমরা থানা এলাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। এরপর কয়েকজন আসামির সহায়তায় ওই ছাত্রীকে আটকে রাখে।

এরপর ১২ নভেম্বর রাত ৮টার সময় ভুক্তভোগীকে আটক করে রাখে এবং তার মোবাইল নিয়ে নেয়। বাদী তার পরিবারের সাথে কথা বলার জন্য আসামিকে মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়ার জন্য বললে নোবেল ওই ছাত্রীর ২৬ হাজার টাকার রেডমি ১০-প্রো মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে। এরপর আসামি নোবেল তার বসতঘরে আটক রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে। নোবেলের কথামতো বাসায় না থাকলে তার মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বলে জানায়। তাই বাদী আসামীর ভয়ে কাউকে কোনো কিছু বলার সাহস পাননি।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর থেকে গত ১৯ মে পর্যন্ত বাদীকে মারপিট করতো। আসামি তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরো ২ থেকে ৩ জনের সহায়তায় বাদীকে সিঁড়ি দিয়ে চুলের মুটি ধরে টানাহেঁচড়া করে অপর একটি কক্ষে আটক করে রাখে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বাদীর পিতা-মাতা বাদীকে চিনতে পারে। এরপর তার পরিবার পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে।

কিউএনবি/অনিমা/২০ মে ২০২৫, /রাত ৯:১৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

November 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit