শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কড়াকড়ি, সর্বনিম্ন শরণার্থী গ্রহণের সীমা ঘোষণা ট্রাম্পের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৫০৬ জন শেখ হাসিনাসহ ২৬১ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি সংস্কার কমিশন বয়কট করা উচিত ছিল বিএনপির : আব্দুল্লাহ তাহের শার্শা বিএনপি’র আয়োজনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আশুলিয়ায় ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের লিফলেট বিতরণ  মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ৭৯০ বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের বিরুদ্ধে ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ গণভোট ও নির্বাচন নিয়ে যে বার্তা দিলেন প্রেস সচিব আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে ৩ হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার : ডিএমপি

ক্লান্ত বা দুর্বল লাগছে? আলফা থ্যালাসেমিয়া না তো

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
  • ৭১ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। এই উপলক্ষে জেনে নিন আলফা থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে, যা একটি জেনেটিক রক্তজনিত রোগ এবং হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে প্রভাব ফেলে।

আলফা থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তরোগ, যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে। হিমোগ্লোবিন একটি প্রোটিন, যা রক্তের লাল কণিকায় থাকে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পরিবহন করে। এই হিমোগ্লোবিন গঠিত হয় দুটি প্রোটিন চেইন দিয়ে — আলফা গ্লোবিন এবং বিটা গ্লোবিন।

হেমাটোলজিস্ট ডা. বিজয় রামানন বলেন, “মানুষ সাধারণত চারটি আলফা গ্লোবিন জিন পায়, প্রতিটি পিতামাতা থেকে দুটি করে। এই জিনগুলো আলফা গ্লোবিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়।” 

যদি এই চারটি জিনের এক বা একাধিক ত্রুটিপূর্ণ হয়, তবে আলফা গ্লোবিনের উৎপাদন কমে যায়। এতে হিমোগ্লোবিনের গঠন ব্যাহত হয় এবং রক্তের লাল কণিকা অক্সিজেন পরিবহনে অক্ষম হয়ে পড়ে। এর ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্ত সল্পতা দেখা দেয়।

আলফা থ্যালাসেমিয়ার ধরন ও উপসর্গ:

সাইলেন্ট ক্যারিয়ার (একটি জিন ত্রুটি): কোনো উপসর্গ দেখা যায় না, সাধারণত রুটিন জেনেটিক স্ক্রিনিং-এ ধরা পড়ে।

আলফা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট (দুটি জিন ত্রুটি): হালকা মাত্রার অ্যানিমিয়া হতে পারে, তবে অনেক সময় কোনো লক্ষণই থাকে না।

হিমোগ্লোবিন এইচ ডিজিজ (তিনটি জিন ত্রুটি): মাঝারি থেকে তীব্র অ্যানিমিয়া হয়। উপসর্গের মধ্যে ক্লান্তি, দুর্বলতা, হলদে বা ফ্যাকাশে চামড়া, গাঢ় রঙের প্রস্রাব ও শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়ার ধীরগতি অন্তর্ভুক্ত।

হাইড্রপস ফেটালিস (চারটি জিন ত্রুটি): সবচেয়ে মারাত্মক অবস্থা। গর্ভেই শিশু মারা যেতে পারে।

কীভাবে নির্ণয় করা হয়?

সিবিসি টেস্ট : প্রাথমিকভাবে সিবিসি টেস্ট করতে হবে।

জেনেটিক টেস্ট : শুধু সিবিসি নয় নির্ভরযোগ্য এবং সঠিকভাবে রোগটি নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয়।

আলফা বনাম বিটা থ্যালাসেমিয়া:

আলফা থ্যালাসেমিয়া আলফা গ্লোবিন জিনের ত্রুটিজনিত, আর বিটা থ্যালাসেমিয়া বিটা গ্লোবিন জিনের। বিটা থ্যালাসেমিয়া সাধারণত অধিকতর জটিল এবং ছোট বয়সেই ধরা পড়ে।

চিকিৎসা

ফোলিক অ্যাসিড: রক্ত তৈরি বাড়াতে সাহায্য করে।

প্রয়োজনে রক্তদান: বিশেষ করে ক্লান্তি বা সংক্রমণের সময়।

আয়রন ওভারলোড নজরদারি: বেশি রক্তদানে আয়রনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, তখন আয়রন চেলেশন থেরাপি প্রয়োজন হয়।

আলফা থ্যালাসেমিয়া বংশগত, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য। সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসায় একজন ব্যক্তি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৭ মে ২০২৫, /সন্ধ্যা ৭:০৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit