 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। এই উপলক্ষে জেনে নিন আলফা থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে, যা একটি জেনেটিক রক্তজনিত রোগ এবং হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে প্রভাব ফেলে।
হেমাটোলজিস্ট ডা. বিজয় রামানন বলেন, “মানুষ সাধারণত চারটি আলফা গ্লোবিন জিন পায়, প্রতিটি পিতামাতা থেকে দুটি করে। এই জিনগুলো আলফা গ্লোবিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়।”
যদি এই চারটি জিনের এক বা একাধিক ত্রুটিপূর্ণ হয়, তবে আলফা গ্লোবিনের উৎপাদন কমে যায়। এতে হিমোগ্লোবিনের গঠন ব্যাহত হয় এবং রক্তের লাল কণিকা অক্সিজেন পরিবহনে অক্ষম হয়ে পড়ে। এর ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্ত সল্পতা দেখা দেয়।
আলফা থ্যালাসেমিয়ার ধরন ও উপসর্গ:
সাইলেন্ট ক্যারিয়ার (একটি জিন ত্রুটি): কোনো উপসর্গ দেখা যায় না, সাধারণত রুটিন জেনেটিক স্ক্রিনিং-এ ধরা পড়ে।
আলফা থ্যালাসেমিয়া ট্রেইট (দুটি জিন ত্রুটি): হালকা মাত্রার অ্যানিমিয়া হতে পারে, তবে অনেক সময় কোনো লক্ষণই থাকে না।
হিমোগ্লোবিন এইচ ডিজিজ (তিনটি জিন ত্রুটি): মাঝারি থেকে তীব্র অ্যানিমিয়া হয়। উপসর্গের মধ্যে ক্লান্তি, দুর্বলতা, হলদে বা ফ্যাকাশে চামড়া, গাঢ় রঙের প্রস্রাব ও শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়ার ধীরগতি অন্তর্ভুক্ত।
হাইড্রপস ফেটালিস (চারটি জিন ত্রুটি): সবচেয়ে মারাত্মক অবস্থা। গর্ভেই শিশু মারা যেতে পারে।
কীভাবে নির্ণয় করা হয়?
সিবিসি টেস্ট : প্রাথমিকভাবে সিবিসি টেস্ট করতে হবে।
জেনেটিক টেস্ট : শুধু সিবিসি নয় নির্ভরযোগ্য এবং সঠিকভাবে রোগটি নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয়।
আলফা বনাম বিটা থ্যালাসেমিয়া:
আলফা থ্যালাসেমিয়া আলফা গ্লোবিন জিনের ত্রুটিজনিত, আর বিটা থ্যালাসেমিয়া বিটা গ্লোবিন জিনের। বিটা থ্যালাসেমিয়া সাধারণত অধিকতর জটিল এবং ছোট বয়সেই ধরা পড়ে।
চিকিৎসা
ফোলিক অ্যাসিড: রক্ত তৈরি বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রয়োজনে রক্তদান: বিশেষ করে ক্লান্তি বা সংক্রমণের সময়।
আয়রন ওভারলোড নজরদারি: বেশি রক্তদানে আয়রনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, তখন আয়রন চেলেশন থেরাপি প্রয়োজন হয়।
আলফা থ্যালাসেমিয়া বংশগত, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য। সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসায় একজন ব্যক্তি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।
কিউএনবি/আয়শা/০৭ মে ২০২৫, /সন্ধ্যা ৭:০৪