আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার মার্স ক্লাসিক ওয়্যার লিমিটেড নামের একটি কারখানার ডাইরেক্টর মো: মোকলেছুর রহমানের নামে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করেছেন সাময়িক বরখাস্তকৃত শ্রমিক মো: জাহাঙ্গীর আলম।সোমবার সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে এমন তথ্য দেন। এরআগে ২৪শে ফেব্রুয়ারী (সোমবার) আশুলিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়।এবিষয়ে কারখানার ডাইরেক্টর বলেন, জাহাঙ্গীর আমার কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতো। কারখানার ভিতরে কাজ চলাকালীণ সময়ে সে সিগারেট খেয়েছিলো। আমার স্টাফ তা দেখে ফেলে এবং এর প্রতিবাদ করে। পরে জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে কারখানায় আন্দলোন হয়। এতে আমি কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হই। এর কিছুদিন পরে আবারও কারখানা চালু করি। তখন কয়েকজন শ্রমিক নেতাদের অনুরোধ তাকে পূনরায় চাকরিতে বহাল রাখা হয়। এরপর থেকে সে তার ইচ্ছামত কাজ করতে থাকে। তাকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার পরও সে সঠিকভাবে দ্বায়িত্ব পালন করছিলো না। একদিন জাহাঙ্গীর কিছু বডিতে কাজে ভুল করে।
ফ্লোর ইনচার্জ মো: শফিক রাগ করে বডিগুলো অন্য মেশিনের উপর ফেলে দেয়। এতে সে আমার ফ্লোর ইনচার্জ সহ সুপার ভাইজারদের ডাক-চিৎকার দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে সে কাউকে কিছু না বলে কারখানা থেকে বের হয়ে চলে যায়। বায়াররা ১০০℅ কোয়ালিটি চায়। অন্যথায় আমাদের মালগুলো রপ্তানি করতে বেগ পেতে হয়। তাই আমার স্টাফরা মালের কোয়ালিটি ভালো করার জন্য কাজে ভুল হলে শ্রমিকদের দেখিয়ে দিবে এটাই স্বাভাবিক। সে যে আচরণ করেছে, তা বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২৩(৪) (জ, ছ) ধারা মতে প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব অবহেলা ও উচ্ছৃঙ্খলতা আওতায় পড়ে। এজন্য তাকে পরপর ৩টি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সে নোটিশের সঠিক জবাব না দিতে পারায় তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একারণে সে আমাকে হয়রানি ও আমার মান ক্ষুন্ন করতে থানায় আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। এখানেই সে ক্ষান্ত নয়, আমার বিরুদ্ধে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে আমাকে সে হেয়-পতিপন্ন করেছে বলে আমি এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর বলেন, কারখানার মালিক আমার বিরুদ্ধে যা-যা অভিযোগ করেছে তা সব মিথ্যা। আইনানুযায়ী আমার পাওনাদি দিতে হবে, এটাই আমার দাবী। এবিষয়ে আশুলিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো: ফিরোজ মিয়া বলেন, জাহাঙ্গীর কারখানার কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে, যা আমি তদন্ত করে পেয়েছি। তাকে পরপর ৩টি নোটিশ দিয়েছিলো কারখানাটির কর্তৃপক্ষ। সে নোটিশের সঠিক জবাব দিতে পারে নাই। তার সাথে কথা বলেছি পাওনাদি পেলেই সে খুশি। শুক্রবারে এবিষয়ে সমাধান করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।