আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমবার রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম ইজভেস্তিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সাথে যেকোনো দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চুক্তি করতে অবশ্যই মস্কোর দাবি পূরণ করতে হবে।’
গ্রুশকো বলেন, ‘আমরা দাবি করব যে, আমাদের জন্য ‘আয়রনক্ল্যাড’ নিরাপত্তা গ্যারান্টিগুলো এই চুক্তিতে রাখা হোক।’
‘এই গ্যারান্টিগুলোর অংশ হবে ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থা। ন্যাটো দেশগুলোর জোটে এটি থাকতে পারবে না,’ বলেন তিনি।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি মঙ্গলবার ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে কথা বলবেন। ওয়াশিংটন মস্কোর উপর ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণের জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছে।
রোববার রাতে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা ভূ-খণ্ড নিয়ে কথা বলব। অথবা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কথা বলব।’
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ, যিনি কয়েকদিন আগে পুতিনের সাথে দেখা করেছিলেন, রোববার সিএনএনকে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে ‘কয়েক সপ্তাহের’ মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব।
উইটকফ বলেন, ‘আমি মনে করি এই সপ্তাহে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট সত্যিই ভালো এবং ইতিবাচক আলোচনা করবেন।’
সাক্ষাৎকারে গ্রুশকো ক্রেমলিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, মস্কো স্পষ্টতই ইউক্রেনে ন্যাটো পর্যবেক্ষক মোতায়েনের বিরুদ্ধে।
এর আগে ব্রিটেন ও ফ্রান্স উভয়ই যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও বলেছেন, তার দেশও অনুরোধ জানালে ভেবে দেখবে।
গ্রুশকো আরও বলেন, শান্তি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পরেই কেবল নিরস্ত্র-যুদ্ধ পরবর্তী পর্যবেক্ষক মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
‘আমরা নিরস্ত্র পর্যবেক্ষকদের কথা বলতে পারি, যারা বেসামরিক মিশনের অংশ হেসেবে এই চুক্তির বিষয়গুলো আলাদা আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন করবে।’
পুতিন এর আগে বলেছিলেন যে যেকোনো চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য তাদের দেয়া গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ করতে হবে।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
কিউএনবি/আয়শা/১৭ মার্চ ২০২৫,/রাত ১০:২০