রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

সংস্কার প্রস্তাবে মতামত দিল সাত দল, সময় চাইল ১৬ রাজনৈতিক দল

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫
  • ৪৩ Time View

ডেস্ক নিউজ : আজ বৃহস্পতিবারের (১৩ মার্চ) মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার  জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত দিয়েছে সাতটি রাজনৈতিক দল। বাকী দলগুলোর মধ্যে ১৬টি দল সময় চেয়েছে আর বাকী ১৪টি দল সঙ্গে কমিশন আবারও যোগাযোগ করেছে, মতামত নেয়ার জন্য। 

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ)  জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এইসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,   লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও ‘আম জনতার দল’তাদের মতামত জমা দিয়েছে। 

এ দলগুলোকে নিয়ে আগামী মঙ্গল, বুধবার নাগাদ আলোচনা শুরু করা হতে পারে তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ ভবনে দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করা হবে।

সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে ও ঐকমত্যে পৌঁছাতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশন কাজ শুরু করে।

সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গত ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে তুলে ধরা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশের বিষয়ে মতামত পাওয়ার পরই আলোচনা শুরু করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

১৩ মার্চের মধ্যে দলগুলোকে সুনির্দিষ্ট মতামত পাঠাতে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।

প্রতিবেদনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ স্প্রেডশিট আকারে দেওয়া হয়েছে।

এর বাইরে সংস্কার কমিশনের অন্যান্য সুপারিশের বিষয়ে দলের মতামত থাকলে কমিশন সেটিও গ্রহণ করবে বলে চিঠিতে বলা হয়েছিল।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনার দলের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট মতামত প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তীতে কমিশন আলোচনার সূচনা করবে।’

চিঠির সঙ্গে ছয়টি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর সারসংক্ষেপ স্প্রেডশিটে ছক আকারে দেওয়া হয়েছে।

দলের নাম ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও পদবি থাকবে।

প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে মতামত (তিনটির মধ্যে যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন) চাওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- ‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’।

সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে ছয়টির মধ্যে যে কোনো একটি টিক চিহ্ন দিতে হবে।

এগুলো হলো-‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে’, ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’ ‘নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ এবং ‘গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে’।

এর বাইরে প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে ‘মন্তব্য’ করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সহসভাপতি হিসেবে রয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ। অন্য সদস্যরা হলেন-জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

গত ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের হাল ধরা অন্তর্বর্তী সরকার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারে দুই ধাপে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে।

কিউএনবি/অনিমা/১৩ মার্চ ২০২৫,/রাত ৯:৫৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit