শার্শা(যশোর)প্রতিনিধি : যশোরের শার্শায় একই পরিবারের ৫ ভাইকে পিটিয়ে জখমের ঘটনায় ৫ পরিবার অবরুদ্ধ। বাড়ি ছাড়া ৮ জন পুরুষ সদস্য। ভুক্তভোগি পরিবারের পক্ষে কিতাব আলী বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে শার্শা থানয় একটি অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ঘটনায় দূর্বৃত্তরা বাদী সহ ঐ পরিবারকে অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি প্রদর্শন করছে। তা না হলে বাদীসহ তার পরিবারের সদস্যদের গাছে জুলিযে টুকরো টুকরো করে কাটবে বলে ঘোষনা দিয়েছে। থানার অভিযোগে অভিযুক্তরা হলেন কাওছার আলী (৬৫), হাবিবুর রহমান বাবু (৪৮), মোঃ মোকাদ্দিন (৩৫), ও জাবাকসো (৪০)। শার্শা থানায় অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গত মঙ্গলবার সকালে শার্শার কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রুপুর হাড়িপোল পশ্চিম পাড়্রা গ্রামে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে একই পরিবারের ৫ ভাইকে মাঠে পেয়ে তাদের উপরে হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে । হামলায় আহত ৫ ভাই রুদ্রপুর হাড়িপোল পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত আমির চাঁদ’র ছেলে মোঃ কুতুব আলী (৫৫),মোঃ কিতাব আলী (৪৮),হানিফ আলী (৪০), আইয়ুব আলী (৩৫) ও টিংকু আলী (৩২)। এদের মধ্যে আইয়ুব আলীর অবস্থা আশংক জনক।
আইয়ুব আলরি ডান হাতের কজ্বিসহ তিন জায়গায় ভেঙ্গে গেছে।সে এখন শাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযোগে জানাগেছে, রুদ্রপুর গ্রামের ইছা করিমের ছেলে কামরুল ইসলাম (৪০) এর নেতৃত্বে মোকাদ্দিন বাহীনি সাধারন মানুষের উপর অত্যাচার করছে। এসব ঘটনায় পত্রিকায় রিপোর্ট হওয়ায় কামরুল এর পিতা ইছা করিম প্রকাশ্যে কিতাব আলীর পরিবারসহ তার জামাই সরকারী চাকুরিজীবী হাসানুজ্জামানকে গাছে ঝুলিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। অভিযোগে আরও জানাগেছে, রুদ্রুপুর হাড়িপোল পাড়ার কাওছার, হাবিবুর রহমান বাবু, মোকাদ্দিন জাবাকসো সহ কতিপয় দূর্বৃত্তরা গ্রামের নিরীহ মানুষের উপর নানান অত্যাচার ও মারপিট করছে। আগেও এসব দূর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। কিছু দিন বন্ধ থাকার পর তারা আবারো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করেছে । আর এ সবের মুলে রয়েছে কামরুল ও তার পিতা ইছা করিম। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আহত কিতাব আলী জানান , তাদের ৫ ভাইয়ের উপর ৫ দফা হামলার ঘটনায় আবারো তিনি শার্শা থানায় অবিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি জানান, অভিযোগ দেওয়ায় ও তাদের মারপিটের ঘটনা সংবাদ পত্রে খবর বেরোনোর কারনে দূর্বৃত্তরা তাদের পবিবার সহ ও তার জামাইকে টুকরো টুকরো কেটে হত্যার হুমকি দি্েধসঢ়;ছ। তিনি বলেন তার একটি পালসার মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। যা এখনও রুদ্রপুর বাজারে হবিবরের চায়ের দোকানের পিছনে হলুদ ক্ষেতে পড়ে আছে। তিনি বলেন তাদের বাজারে ও মাঠে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। পরিবারের মহিলারা অবরুদ্ধ। তারা ৫ভাই সহ পরিবারের ৮জন সদস্য গত ৫দিন ধরে বাড়ি ছাড়া এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম রবিউল ইসলাম বলেন রুদ্রপুরের ঘটনায় থানায় অবিযোগ হয়েছে। পুলিশ ঘটনা স্থলে খোজ খবর নিয়েছে । তিনি বলেন অভিযোগকারীর অভিযোগ তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিউএনবি/অনিমা/১৩ মার্চ ২০২৫,/বিকাল ৩:১৫