মনিরুল ইসলাম মনি : শার্শা(যশোর)সংবাদদাতা : যশোরের শার্শায় ঈদকে সামনের রেখে অভিনব কায়দায় প্রতারক চক্র বিভিন্ন ভাবে প্রতারনা শুরু হয়েছে। প্রতারক চক্র গ্রামের বিত্তবানদের মোবাইল নং সংগ্রহ করে মোবাইলের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে অর্থ ছিনিয়ে নিচ্ছে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের কন্দবপুর মানিকআলী গ্রামে।
এ ব্যাপারে কন্দবপুর মানিকআলী গ্রামের ফিরোজ আহমেদ নামে এক ব্যাক্তি জানান, তার ছেলে মোঃ নাফিজ আহমেদ নাভারন আজিক কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। তিনি একজন দলিল লেখক। তিনি জানান ৬ মার্চ দুপুর ১ টার দিকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে এই মোবাইল নং থেকে ০১৮৬৫৭৯৯০৯৫ বলে আমরা প্রশাসনে লোক। আপনার নাম ফিরোজ আহম্দে , আপনার ছেলের নাম নাফিজ আহমেদ। আপনার ছেলে মাদক নিয়ে ধরা পড়েছে।
সে এখন আমাদের কাছে বন্দি। এমন সংবাদে ফিরোজ আহমেদ বলেন আমার ছেলের কাছে ফোন দেণ। এ সময় প্রতারক চক্র একটি কিশোর ছেলের কাছে ফোন দিয়ে বলে তোর আব্বার সাথে কথা বল। এ সময় কিশোরটি কান্না জড়িত কন্ঠে বলে আব্বু আমাকে বাঁচাও এই বলে ফোন কেটে দেন। এর পরপরই প্রতারক চক্র ফিরোজ আহমেদকে বলেন আপনার ছেলে ছোট। মাদক নিয়ে ধরা পড়েছে। ওকে আমরা চালান দিতে চাইনা। ও ছোট মানুস।
এই বলে প্রতারক চক্র ফিারেজ আহমেদ কে তার ছেলেকে বাঁচাতে বিকাশ নং ০১৬০৭ ৪৭৭৬২১ নম্বর মোবাইলে ১৫ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। অন্যথায় নাফিজকে চালান দেওয়া হবে বলে হুমকি ও ভয় প্রদর্শন করেন। এমন ঘটনার পর ফিরোজ আহমোদ আজিক কলেজিয়েক স্কুলে যোগাযোগ করে জানতে পারে তার ছেলে নাফিজ আহমেদ স্কুলেই রয়েছে। তখন ফিরোজ আহম্দে তার ছেলের ব্যাপারে সংবাদ সঠিক না বলে জানালে প্রতারক চক্র অশ্লিল ভায়ায় গালি গালাজ করে ফোন কেটে দেন।
ফিরোজ আহমেদ জানান এ ব্যাপারে ঘটনার পরের দিন তিনি প্রতারক চক্রের দুটি মোবাইল নম্বর দিয়ে শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম রবিউল ইসলাম বলেন এমন ঘটনায় একজন থানায় অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীকে সনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি ঈদকে সামনে রেখে এমন প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা না দিতে সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানান।
কিউএনবি/আয়শা/০৮ মার্চ ২০২৫,/বিকাল ৪:২৩