আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে সাবেক এ শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, তিনি গত ৯ মাস ধরে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সরকারে নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন। কিন্তু গত ছয় মাস ধরে ‘নিজের প্রতি এবং তার পরিবারের প্রতি হওয়া জঘন্য অপমান, অপবাদ এবং হুমকি সহ্য করতে হয়েছে তাকে।’
নিয়োগকে ঘিরে বিতর্কের সময়টাকে ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ‘সবচেয়ে খারাপ’ সময় হিসেবে বর্ণনা করেছেন জারিফ।জাভেদ জারিফের অনেক সমালোচকের মতে, সংবিধান লঙ্ঘন করে তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কারণ তার সন্তানরা যারা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছেন, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
এদিকে জারিফ তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, গত চার দশক ধরে, জাতীয় স্বার্থকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আমার ক্ষুদ্র ভূমিকার জন্য আমি অসংখ্য অপমান এবং অভিযোগ সহ্য করেছি। ইরানের ওপর আরোপিত যুদ্ধ শেষ করা থেকে শুরু করে পারমাণবিক ইস্যু পর্যন্ত দেশের স্বার্থ রক্ষায় মিথ্যা এবং তথ্য বিকৃতির মুখে আমি নীরব থেকেছি।তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি আশা করি, আমার চলে যাওয়ার সাথে সাথে জনগণের ইচ্ছা এবং সরকারের সাফল্যের পথে সব বাধা দূর হবে।’জারিফ এর আগে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির অধীনে আট বছর ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
তিনি জানান, দেশটির বিচার বিভাগীয় প্রধান তাকে সম্প্রতি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দেশের বর্তমান অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করে ‘সরকারের ওপর চাপ কমানোর জন্য’ তাকে শিক্ষাক্ষেত্রে (বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার) ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।সাবেক এই শীর্ষ কূটনীতিক দেশটির রক্ষণশীল রাজনৈতিক মহল থেকে তীব্র চাপের মুখে ছিলেন। তাকে তার পদ থেকে অপসারণের জন্য সংসদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল। এর আগেও তার পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু তিনি সেসব উড়িয়ে দিয়েছেন।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
কিউএনবি/আয়শা/০৩ মার্চ ২০২৫,/বিকাল ৪:৫২