লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : পিরিয়ডের সময় দেহে হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন হওয়ার জন্য মেজাজ খিটখিটে থাকে। মহিলাদের মধ্যে এ সমস্যা খুব কমন। শরীরে কাজ করার এনার্জি থাকে না। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন এক্সারসাইজ করার। মদ্যপান এড়িয়ে চলুন এবং স্ট্রেস মুক্ত জীবন কাটান। আর সবচেয়ে জরুরি হলো খাদ্যতালিকায় নজর দেওয়া। পিরিয়ড শুরুর আগে কয়েকটি খাবার খেলে অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন, মন খারাপের মতো সমস্যা সহজেই এড়াতে পারবেন।
শাক
মেথি, পালং, পুঁই— সব ধরনের শাক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শাকের মধ্যে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এটি মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে। তা ছাড়া শাকের মধ্যে যে সব খনিজ রয়েছে, সেগুলো পিরিয়ডের সময় শারীরিক অস্বস্তি, ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতেও সাহায্য করে।
ক্যাপিটাল ক্লাবের নির্বাচন: ফের সভাপতি আবুল হোসেনক্যাপিটাল ক্লাবের নির্বাচন: ফের সভাপতি আবুল হোসেন
মাছ
মাছের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। মাছ খেলে পিরিয়ডের সময় শারীরিক প্রদাহ কমে। পাশাপাশি ডিপ্রেশন ও মুড সুইং নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
বাদাম ও বীজ
আমন্ড, আখরোট, ফ্ল্যাক্স সিড, কুমড়োর দানার মতো খাবারে ফ্যাটি অ্যাসিড ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এগুলো স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে, মুড সুইং নিয়ন্ত্রণ করতে এবং প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিন্ড্রোমের লক্ষণগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
সাবিনাদের ‘অভাব অনুভব’ করছেন না অধিনায়ক আফিদাসাবিনাদের ‘অভাব অনুভব’ করছেন না অধিনায়ক আফিদা
দানাশস্য
ব্রাউন রাইস, কিনোয়া, ওটস, ডালিয়ার মতো খাবারে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামের রাসায়নিক নিঃসরণে সাহায্য করে। এর জেরে মেজাজ উন্নত হয়। পিরিয়ড শুরুর আগে এই ধরনের খাবার খেলে মেজাজ খিটখিটে হবে না।
ফার্মেন্টেড খাবার
টক দই, আচার, কিমচির মতো খাবার হলো ফার্মেন্টেড খাবার। এই ধরনের খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আর অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। বিশেষত অ্যাংজাইটি ও ডিপ্রেশন কমে যায়।
কিউএনবি/অনিমা/২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,/রাত ৮:৪৪