স্পোর্টস ডেস্ক : জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি শেষ করেছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে। বিপিএলেও লিগ পর্বের শেষ দিকে এসে এখন সবচেয়ে বেশি রান তার। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরিও। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ও বিপিএলে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি।
স্বাভাবিকভাবেই একটা উচ্ছ্বাস ছিল নাঈমের। এনসিএলের ১০ ম্যাচে ৩১৬ রান করেন তিনি। এবারের বিপিএলেও এখন অবধি ১১ ম্যাচ খেলে ৪৪৪ রান এসেছে নাঈমের ব্যাট থেকে। এভাবে বদলে যাওয়ার রহস্য কী?
এমন প্রশ্নের উত্তরে নাঈম বলেন, ‘সর্বশেষ যতগুলো টুর্নামেন্ট খেলেছি নিজের শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করেছি। মাঠে সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। ভেঙে বলতে গেলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে। অফ সিজনে কাজ করেছি। ‘
‘সত্যি বলতে কোনো প্রত্যাশা ছিল না। বেসিক ঠিক রেখে প্রসেস মেনে চলতে চাই। কোনো প্রত্যাশা রেখে শুরু করিনি। কোনো লক্ষ্য নেই, উন্নতি করতে পারছি কি না… নিজের সঙ্গে নিজের চ্যালেঞ্জ। উন্নতি করতে চেয়েছি, হয়েছে কি না। এনসিএলেও কোনো লক্ষ্য ছিল না যেমন সর্বোচ্চ রানের মালিক হতে হবে বা ভালো করতে হবে। এমন কোনো ভাবনা ছিল না। নিজের সঙ্গে নিজের চ্যালেঞ্জ যত বেশি বড় করা যায়। ‘
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে শেষ অবধি অপরাজিত ছিলেন নাঈম। ৬২ বলে ১১১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এর আগে বিপিএলের কয়েকটি ম্যাচে শুরু পেয়েও বড় করতে পারেননি। কোথায় বদল এনে বড় ইনিংস খেলার শক্তি পেয়েছেন?
তিনি বলেন, ‘মানসিকতায় পরিবর্তন অবশ্যই জরুরি। এটা না এলে লম্বা ইনিংস খেলা খুব কঠিন ওপেনার হিসেবে। আগে অফ স্পিনে অনেক সংগ্রাম করছিলাম। ঐ জায়গা থেকে বের হয়ে আসছি- কীভাবে ডট না করে স্ট্রাইক রোটেট করা যায়। আর রেঞ্জ হিটিং।
‘তিন বছর আগে মুশফিক ভাই বলেছিল, রিভার্স সুইপ নিয়ে কাজ করা গেলে আমার জন্য সহজ হয়ে যাবে। এখন অফ স্পিনে সুইপ-রিভার্স সুইপ অনেক সহজ হয়েছে। স্লগ সুইপে আগে ভালো ছিলাম, মাঝখানে সংগ্রাম করছিলাম। বলতে গেলে লম্বা হয়ে যাবে। অবশ্যই কিছু জিনিস পরিবর্তন এনেছি তাই সাফল্য আসছে। ‘
কিউএনবি/আয়শা/৩০ জানুয়ারী ২০২৫,/রাত ১০:০০