শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন

দৌলতপুরে কৃষকদের ধান লুট :দূবৃর্ত্তদের দৌরাত্বে অতীষ্ট গ্রামবাসী

মো. সাইদুল আনাম.কুষ্টিয়া
  • Update Time : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৪৬ Time View

মো. সাইদুল আনাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কৃষকদের মারপিট করে মাড়াই করা ধান জোরপূর্বক বস্তায় ভরে লুট করে নিয়ে গেছে একদল চিহ্নিত দূবৃর্ত্ত। এসকল দূবৃর্ত্তদের বেপরোয়া চাঁদাবাজি, ধান লুট ও অপরাধ কর্মকান্ডে ভীতসন্ত্রস্থ ও আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে নিরীহ গ্রামবাসী। দিনের পর দিন দূবৃর্ত্তরা অপরাধ কর্মকান্ড ঘটালেও তাদের নির্যাতনের ভয়ে এলাকার নির্যাতিত সাধারণ মানুষ প্রশাসনকেও অবহিত করতে ভয় পাচ্ছে বলে জানাগেছে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালী গ্রামে এ ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিদিনই ঘটছে বলে এলাকার নির্যাতিতরা জানিয়েছেন।

এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে, দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী সরদার পাড়া গ্রামের কৃষক রানা, আব্দুল কাদের ও লালান গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর) তাদের নিজের জমিতে ধান কাটতে যায়। এসময় একই এলাকার চিহ্নিত দূবৃর্ত্ত ও গ্যাংলিডার আশরাফুল (৩০) ও গ্যরান্টি (৩৫) এর নেতৃত্বে ১৫-১৬ জনের একদল সশস্ত্র দূবৃর্ত্ত কৃষকদের বেধড়ক মারপিট করে ধান ক্ষেত থেকে তাড়িয়ে দিয়ে ধানক্ষেত দখলে নেয়। এ ঘটনার কয়েকদিন আগে সরদারপাড়া গ্রামের পলান নিজ জমির ধান কেটে খোলায় মাড়াই করে বস্তায় ভরলে ওইসকল দূবৃর্ত্ত বস্তাভর্তি ধান লুট করে নেয়।প্রতিবাদ করলে আশরাফুল ও গ্যারান্টি তাদের হত্যার হুমকি দেয় বলে ভীতসন্ত্রস্থ গ্রামবাসীরা জানায়। এছাড়াও এলাকার নিরীহ গ্রামবাসী রানা ও ওয়াজেদ মেলেটারী সহ অন্তত অর্ধশত সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আশরাফুল ও গ্যারান্টি সহ তাদের দোসররা কয়েকদফা লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাও আদায় করেছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।

শুধু আব্দুল কাদের, লালান, রানা ও ওয়াজেদ মেলেটারী নয় এরকম অসংখ্য সাধারণ মানুষ ওইসকল চিহ্নিত দূবৃর্ত্তদের বেপরোয়া চাঁদাবাজি, হামলা এবং অত্যাচার নির্যাতনে ভীত সন্ত্রস্থ ও অতীষ্ট হয়ে পড়েছে। ভয়ে পুলিশ ও প্রশাসনকেও জানাতে ভয় পাচ্ছে তারা। চাঁদাবাজি, ফসল লুট,মারপিট ও নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে নির্যাতিত রানা তার পরিবার নিয়ে গত শনিবার নিজ গ্রাম ও বসতবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে চাইলে ওই সকল চিহ্নিত দুবৃর্ত্ত ও এলাকার লোকজন তাদের যেতেও বাঁধা দেয়।

নির্যাতিত ও অসহায় গ্রামবাসীর দাবি চিহ্নিত ওইসকল চাঁদাবাজদের দৌরাত্ব থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী।দৌলতখালী সরদারপাড়া গ্রামের সিরাজের ছেলে আশরাফুল, মৃত জহুর খলের ছেলে গ্যারান্টি গংদের নেপথ্যে নিয়ন্ত্রক হিসেবে রয়েছেন একই এলাকার আমিরুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম। এদের আইনের আওতায় নেওয়া হলে দৌলতখালী গ্রামের অধিকাংশ অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধ হবে এমনটি মনে করেন ভূক্তভোগীরা। নির্যাতিত ও অসহায় গ্রামবাসীর দাবি চিহ্নিত ওইসকল চাঁদাবাজদের দৌরাত্ব থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে আশরাফুল ও গ্যারান্টির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

তবে দৌলতখালী সরদারপাড়া গ্রামের অপরাধ কর্মকান্ডের বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর থানার ওসি শেখ আউয়াল কবীর। তিনি জানান, এমন ধরণের অপরাধ কর্মকান্ডের খবর পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের কাজ অপরাধ দমন ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা। অবশ্যই এমন ঘটনা ঘটে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কিউএনবি/অনিমা/২৫ নভেম্বর ২০২৪,/দুপুর ১:৪২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit