আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মুখোমুখি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম টিভি বিতর্কে বিপর্যয়ের পর তীব্র চাপের মুখে নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যার ফলে তার পরিবর্তে এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের সঙ্গে লড়ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
৫ নভেম্বর ভোটাররা শুধু প্রেসিডেন্ট নয়, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ (প্রতিনিধি পরিষদ) এবং উচ্চকক্ষ মার্কিন সেনেটের সদস্যদেরও নির্বাচন করবেন।
হোয়াইট হাউসের লড়াইয়ে কে বিজয়ী হবেন, তা অনেকটা নির্ভর করে কয়েকটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের ওপর। যেগুলোকে বলা হয় ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট বা সুইং স্টেট। কারণ বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যে অতীতের ধারাবাহিকতায় একই দলের প্রার্থীকে ভোট দেন ভোটাররা। তাই নির্বাচনের ফলাফলে সুইং স্টেটগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এসব অঙ্গরাজ্যে নির্ধারিত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটগুলো বদলে দিতে পারে ভোটের ফলাফল। এমনকি, জনসাধারণের ভোট বেশি পেয়েও একজন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না-ও হতে পারেন।
১৯টি ইলেকটোরাল কলেজের ভোট সম্বলিত পেনসিলভানিয়া গত কয়েকটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেই একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এবারের নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হবে না। ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হতে গেলে অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, উইসকনসিন ও নেভাদা অঙ্গরাজ্যের ফলও নিজের পক্ষে নিতে হবে, যেগুলোতে ২০২০ সালে জয় পেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এছাড়া ফ্লোরিডা ও ওহাইও একসময় প্রান্তিক হিসেবে বিবেচিত হতো। তবে গত কয়েকটি নির্বাচনে সেগুলো নিরাপদ রিপাবলিকান অঞ্চল হয়ে উঠেছে। যদিও কোনো দলের জন্য কিছুই সুনিশ্চিত নয়।
ভোটগ্রহণ
বেশিরভাগ ভোটার ৫ নভেম্বর ভোটকেন্দ্রে গিয়েই ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এবং এরপরে ব্যালট গণনা করা হবে। তবে পোস্টাল ভোটিং সিস্টেম ব্যবহার করে বা আগাম ভোটিংয়ের দিনগুলোতে অনেকে আগেই ভোট দিয়ে ফেলেছেন।
ভোট গণনা শুরু হয় কখন?
প্রতিটি অঙ্গরাজ্য নিজদের নিয়ম অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ করে থাকে। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। তবে সাধারণত স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সময়ের ব্যবধানের কারণে এমনও হতে দেখা যায়, পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনা শুরু হয়ে যায়, কিন্তু আলাস্কা ও হাওয়াইয়ের মতো অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা তখনও ভোট দিতে থাকেন৷
নির্বাচনের ফলাফল কখন পাওয়া যাবে?
নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজয়ী কে, তা জানতে হয়তো কয়েকদিন ধরে অপেক্ষায় থাকতে হবে না। যদিও অনেক সময় মাসের পর মাস ফলাফল ঠিকমতো চূড়ান্ত হয় না। তবে চূড়ান্ত ভোট গণনা হওয়ার অনেক আগেই অঙ্গরাজ্য এবং সম্পূর্ণ নির্বাচনের ফলাফলে সাধারণত বলা সম্ভব হয় যে, কোন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন।
যেমন- পেনসিলভেনিয়ার ফলাফল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণের চার দিন পরেই জো বাইডেনকে বিজয়ী বলা সম্ভব হয়েছিল। এ অঙ্গরাজ্য বাইডেনকে ২০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট প্রদান করে। এর মধ্য দিয়ে জয়ের জন্য তার প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নিশ্চিত হয়ে যায়।
২০১৬ সালে অবশ্য ভোটের পরদিন সকালেই ট্রাম্পকে বিজয়ী হিসেবে স্বীকার করে নেন হিলারি ক্লিনটন।
কিউএনবি/আয়শা/০২ নভেম্বর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৬:১২