আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘ মহাসাচিবের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক। বুধবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে ফারহান হক বলেন, ‘বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই বসবাস করে ব্রিকস জোটভুক্ত দেশগুলোতে। তাই জাতিসংঘের কাছে এই জোটের সম্মেলন স্বাভাবিক কারণেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এই সম্মেলনে জোটের সব সদস্যের সরকারপ্রধানরা এসেছেন এবং তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সুযোগও রয়েছে। তাই সবদিক বিবেচনা করেই মহাসচিব সম্মেলনে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে সুইজারল্যান্ডে ‘ইউক্রেন শান্তি সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সম্মেলনে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আন্তোনিও গুতেরেসকেও। তবে তিনি সেই সম্মেলনে যাননি। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে ফারহান হক বলেন, ‘মহাসচিব এর আগে অনেকবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে জাতিসংঘের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করার সুযোগ এনে দিয়েছে এই সম্মেলন। আমরা এভাবেই ব্যাপারটি বিবেচনা করছি।’
ব্রিকস মূলত ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত এবং চীন নিয়ে ২০০৯ সালে উদীয়মান অর্থনীতির জন্য একটি সহযোগিতা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গঠিত হয়। পরে ২০১০ সালে এতে দক্ষিণ আফ্রিকা যোগ দেয়। পরে আরও পাঁচ দেশ ব্রিকসে যোগ দেয়। দেশগুলো হলো- সৌদি আরব, ইরান, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইথিওপিয়া। আর চলতি বছর যোগ দিলো আরও ১৩ দেশ। এ নিয়ে স্থায়ী ও অস্থায়ী অংশীদার নিয়ে ব্রিকসের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৩ এ।
কিউএনবি/আয়শা/২৪ অক্টোবর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:৫৩