‘যেহেতু আমরা রাজনৈতিক দল, তাই কোনো সমর্থনই একেবারে নিরঙ্কুশ হতে পারে না। সমর্থনের ক্রিটিক্যাল আই থাকা উচিত। সচেতন করা এবং পরামর্শ দেয়া অব্যাহত থাকতে হবে। সরকারের ভুল হতে পারে, সেগুলো দেখিয়ে দেয়াও আমাদের দায়িত্ব। কিছু বিষয় আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যেগুলো নিয়ে কথা বলা উচিত, ধারণা দেয়া উচিত। জনগণকেও সজাগ করা উচিত,’ যোগ করেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের এজেন্ডা আরও বড় উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘তারা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়ে দেবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব। একইসঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারে তারাই নেতৃত্ব দেবে। এতে যে সময় লাগবে, তা আমরা দেবো। সরকার কীভাবে কাজ করতে চায়, সে অনুযায়ী আমরা পরামর্শ এবং সময় দেবো। পাশাপাশি যতগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা বা সংকট দেখা দেবে সেগুলো তোদেরই সফলভাবে সমাধান করতে হবে।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত এই প্রসঙ্গে মান্না বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার ভারতে চলে যাওয়া আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ভারত ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেয়ার মধ্য দিয়ে একটা প্রশ্ন তৈরি করেছে, এটা দেশটির বন্ধুসুলভ আচরণ নয়। সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন এতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে না। মনে হচ্ছে জোড়াতালি দিয়েও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো দেখাতে হবে। এইটা ঠিক মনে হয়নি আমাদের। ভারতের সঙ্গে আমরা অবশ্যই বন্ধুত্ব চাই, তবে সেটা সমতার ভিত্তিতে হতে হবে।’
দেশের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘নিদারুণভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। কোনোমতে সিন্ডিকেট ভাঙছে না। সংলাপের মাধ্যমে একটা ঐক্যমত্যে আসতে হবে। সরকার যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে।’