ডেস্ক নিউজ : স্বাস্থ্যগত দিক থেকে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে দাবি কমালার। সেই অবস্থান থেকেই এবার নিজের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদন (মেডিকেল রিপোর্ট) প্রকাশ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পকেও তার স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির এই প্রার্থী।
আরটির প্রতিবেদন মতে, হোয়াইট হাউস শনিবার কমলা হ্যারিসের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে চিকিৎসক কমলার শারীরিক ও মানসিক অবস্থাকে ‘চমৎকার’ বলে বর্ণনা করেছেন। এরপরই কমলার এই স্বাস্থ্য প্রতিবেদন ব্যবহার করে প্রচার শিবির ট্রাম্পের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়।
কমলা হ্যারিসের প্রচার শিবিরের একজন উপদেষ্টা বলেন, ৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিসের স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন দেখলে বোঝা যাবে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে উপযোগী। এরপর প্রচার শিবিরের পক্ষ থেকে ৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্পের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
ট্রাম্পের প্রচার শিবির এখন পর্যন্ত তাদের প্রার্থীর স্বাস্থগত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি এবং প্রকাশে আগ্রহী নয় বলেও জানানো হয়েছে। এ কারণে কমলার প্রচার শিবির বলছে, ট্রাম্প তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে কিছু লুকাচ্ছেন। কমলা হ্যারিসের এই স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদন প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য চাপ তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুরু থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ে কথা বলে আসছিলেন। তবে চলতি বছরের জুলাই মাসে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন ৮১ বছর বয়সি এই রাজনীতিক। প্রার্থী হিসেবে দলের মনোনয়ন পান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
মূলত এক টেলিভিশন বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে হেরে যাওয়ার পর বাইডেনের মানসিক তীক্ষ্ণতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর জেরেই কমলাকে সমর্থন দিয়ে সরে যান তিনি। বাইডেন সরে যাওয়ায় ট্রাম্পই এখন সবচেয়ে বেশি বয়সি প্রার্থী।
আর মাত্র এক মাস পরই (আগামী ৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে ট্রাম্পের বয়স ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে কমলার প্রচার শিবির। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দেয়া এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের বয়সের বিষয়টি এখন পর্যন্ত কোনো জরিপে প্রভাব ফেলেনি।
কমলাকে সমর্থন দেয়া নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার নিবন্ধে ট্রাম্পের স্বাস্থ্যগত তথ্য দিতে ব্যর্থতার দিকটি নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। সে বিষয়টি তুলে ধরছে কমলার প্রচার শিবির। তবে ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ।
গত বছরের শেষ দিকে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের সাবেক চিকিৎসক রনি জ্যাকসন তাকে ‘দারুণ স্বাস্থ্যের অধিকারী’ বলে ঘোষণা দেন। সেটাই প্রচার করে যাচ্ছেন ট্রাম্প। গত জুলাই মাসে পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্পের কানে গুলি লাগে। ওই সময়েও রনি জ্যাকসন বিবৃতি দিয়ে বলেন, ট্রাম্প ভালো আছেন।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ অক্টোবর ২০২৪,/রাত ১১:২৫