আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পুরস্কার ঘোষণার সব তথ্য নোবেলপ্রাইজের ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি দেখা যাবে। এ বছরের নোবেল পুরস্কারের সমস্ত ঘোষণা nobelprize.org ও নোবেল পুরস্কার কমিটির ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে), জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এবং জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। বিশ্বশান্তির জন্য একটি অন্ধকারাচ্ছান্ন বছর পার করার প্রেক্ষাপটে এবারের পুরস্কারটিকে বিবেচনা করা হচ্ছে আলোকবর্তিকা হিসেবে।
চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ, সুদানে দুর্ভিক্ষ, জলবায়ু পরিবর্তন সংকটসহ অনেক বিষয় সামনে এসেছে। এ কারণে নোবেল পর্যবেক্ষকেরা শেষ মুহূর্তে এসে এবারের বিজয়ী সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট এই বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬ জন প্রার্থীর নাম নিবন্ধন করেছে, যার মধ্যে ১৯৭ জন ব্যক্তি এবং ৮৯টি সংস্থা রয়েছে। নরওয়েজীয় পিস কাউন্সিল ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে ফিলিস্তিনে জাতিসংঘ পরিচালিত শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে পারে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভূখণ্ডে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকে পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘর্ষ পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
ইউএনআরডব্লিউএ মূলত গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর এবং প্রতিবেশী দেশগুলোয় লাখো ফিলিস্তিনিকে সহায়তা দেয়। নরওয়েজীয় পিস কাউন্সিল বলেছে, ইউএনআরডব্লিউএ নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলে সেটি হবে কঠিন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও তাদের কাজের একটি শক্তিশালী স্বীকৃতি। ভবিষ্যদ্বাণীটি সত্য প্রমাণিত হলে জাতিসংঘের সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনিও শান্তিতে নোবেল পেতে পারেন।
প্রথা হিসেবে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এ পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। সে হিসাবে গত সোমবার (৭ অক্টোবর), মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়েছে যথাক্রমে চিকিৎসা, পদার্থ, রসায়ন ও সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীদের নাম। আর ১৪ অক্টোবর ছয় নম্বর এবং সর্বশেষ অর্থনীতি ক্যাটাগরির পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করে। সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর ৫ বছর পর থেকে তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেয়া হয়। পরে ১৯৬৯ সালে এতে যুক্ত হয় অর্থনীতি। প্রতিবছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেয়া হয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রে পুরস্কার বিজয়ীরা একটি সোনার মেডেল, একটি সনদপত্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা ( বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২কোটি ৮০ লাখ টাকা)।
কিউএনবি/আয়শা/১১ অক্টোবর ২০২৪,/দুপুর ১:৪৩