ডেস্ক নিউজ : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও এর জনগণের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রমজান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
বৈঠকে ফিলিস্তিন কাঙ্খিত স্বাধীন রাষ্ট্র পাবে বলে আশা প্রকাম করেন ড. ইউনূস। বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বৈশ্বিক সমর্থন, গাজায় গণহত্যা এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা হয়। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রশংসা করে বলেন, এটি সময়োপযোগী এবং এটি ফিলিস্তিনি ইস্যুতে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্পটলাইট তৈরি করেছে।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণ শেষে প্রায় ৬০ ফিলিস্তিনি চিকিৎসক এখন গাজায় রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, আরও দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন। ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ফিলিস্তিনি জনগণকে বর্বরতা থেকে রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে এবং সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। যারা ফিলিস্তিনে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ ও নিন্দা সত্ত্বেও গাজায় গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি কেবল আরব বা মুসলিমদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবতার জন্যই উদ্বেগ প্রকাশ করে। ফিলিস্তিনিরা কোনো ব্যয়যোগ্য মানুষ নয়। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী সকলকেই জবাবদিহি করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণকে বিশেষ করে শিশু ও নারীদের বিরুদ্ধে বর্বরতা থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে এবং সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়।
তিনি পরামর্শ দেন যে, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আনয়নের একমাত্র পথ যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
সূত্র বাসস
কিউএনবি/আয়শা/০১ অক্টোবর ২০২৪,/বিকাল ৪:২২