ডেস্ক নিউজ : রাজশাহীর বাঘায় সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ ৫৫ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। শনিবার রাতে বাঘা পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান সুরুজ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। সুরুজ্জামান সুরুজ বাঘা পৌরসভার উত্তর গাওপাড়া গ্রামের ছুরাত আলীর ছেলে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী সুরুজ্জামানসহ তিনজন মিলে ২০২৩ সালের ২২ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ কারাবন্দি থাকা অবস্থায় তার মুক্তির জন্য বাঘা বাজারের ওয়ালটন শোরুমের সামনে পোস্টার লাগাচ্ছিলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ যুবলীগের ৬০-৭০ জন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর হুকুমে হামলা চালিয়ে মারপিট করে এবং ৩০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এ মামলায় ৫৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান আসামি করা হয়েছে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক এমপি শাহারিয়ার আলমকে।
এছাড়াও আসামি করা হয়েছে- সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পিতা শামসুদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা আড়ানী পৌরসভার সাবেক মেয়র মুক্তার আলী, আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম, আড়ানী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সৈনিক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিল্টন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল হাসান বিপ্লব, সৈকত আহমেদ, তারিখ হোসেন, জাহিদ হোসেন, বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মহিদুল ইসলাম, সেলিম হোসেন, লালচাঁন, সুরুজ, রুবেল, সিহাব, মামুন, মুক্তার, ওয়াহিদ সাদিক কবির, নয়ন সরকার, মনিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, মুঞ্জুরুল ইসলাম, লিটন খান, মসলেম খান, টনি, কামু, শাহ আলম, মোস্তফা, সাদেক, লাহাব, শরিফ, সাইফুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান পিন্টু, হাসান, সোহাগ, সাকিব, বায়েজুল ইসলাম, রুবেল মেম্বার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রোকুনুজ্জামান রিন্টু, স্বপন সরকার, ফরহাদ, হিমেল, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রীর রাজনৈতিক এপিএস সিরাজুল ইসলাম, মারুফ, ফজল, আরিফ, রকসেদ আলী, সরোয়ার, দুলাল, সজল, সুজন, আবু বক্কর সিদ্দিক, শাহ আলম খোকন, জুয়েল ও রানাকে।
এ বিষয়ে সুরুজ্জামান সুরুজ বলেন, বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদের মুক্তির দাবিতে পোস্টার সাঁটাচ্ছিলাম। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতারা হামলা চালিয়ে মারপিট করে টাকা কেড়ে নেয় এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশে দেয়। এ মামলায় আমি ১ মাস ১০ দিন কারাবাস করার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পাই। এতে আমার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক সম্মানহানি হয়েছে। এতে আমার দুই কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন হয়েছে। তবে ওই সময় আমার পরিবার থেকে মামলা করতে গেলেও সেটা গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আবু সিদ্দিক বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
কিউএনবি/আয়শা/২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/রাত ১০:৩৮