ডেস্ক নিউজ : বিশ্বের প্রথম সারির ১০টি দেশের মধ্যে জার্মানির অর্থনীতি অন্যতম। তবে গত বছরের তুলনায় দেশটির নিজেদের তৈরি পণ্য উৎপাদন ও রফতানিতে ভাটা পড়ায় মোট প্রবৃদ্ধি কমেছে দশমিক ৩ শতাংশ। যদিও বছরের শুরুর দিক থেকে দেশটির অর্থনীতিবিদরা ধারণা করেছিলেন চলতি বছর শরৎ ঋতুর আসার আগেই চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের প্রশাসন সংকুচিত অর্থনীতিকে প্রসারিত করতে সক্ষম হবে।
করোনা মহামারির পর থেকে অর্থনৈতিক খাতে নানা উদ্যোগের পরেও সংকোচন গিয়ে ঠেকেছে দশমিক ১ শতাংশে। যা দেশটির মোট প্রবৃদ্ধির জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থনীতিবিদ গেরাল্ডিনে ড্যানী বলেন, গত দুই বছর ধরে জার্মানির অর্থনীতি স্থবির সময় পার করছে। এই সমস্যা দ্রুত কমে আসবে। বিশেষ করে প্রাইভেট সেক্টরে পণ্যের চাহিদা বাড়ার বিপুল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতি, ভৌগোলিক পরিবর্তন একইসঙ্গে ডিজিটালাইজেশন অর্থনৈতিক মন্দার অন্যতম কারণ বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা। ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রণোদনা, প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলেও আশা অর্থনীতিবিদদের। ড্যানী বলেন, বিশ্ব এখন নানা চড়াই-উৎড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সে প্রভাব পড়েছে জার্মানির অর্থনীতিতেও। সবশেষ গত বছরে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ সে জায়গা থেকে কমে ২ দশমিক ২ এসে ঠেকেছে। আশা করছি ইউরোপীয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেবে।
জার্মানির অর্থ মন্ত্রণালয় এবং দেশটির বিভিন্ন অর্থনীতি সংস্থাগুলোর আশা, সংকট কাটিয়ে ২০২৫ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে তা বেড়ে তা ১ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
কিউএনবি/আয়শা/২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/দুপুর ১:০৫