বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ: এক ম্যাচে ৬ রেকর্ড ঢাকার ১১ স্থানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ১৩১ ৯ বলের সুপার ওভার, পাঁচ বলে ৫ রান করতে পারেনি বাংলাদেশ চিকিৎসক হয়েও সুরের ভুবনে ঝংকার তুলছেন রানা প্রশাসনে রদবদল নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা বিদেশি তাঁবেদার থেকে দেশ রক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছে: রেজাউল করিম দৌলতপুরে ক্লিনিক ব্যবসার আড়ালে দেহ ব্যবসা : আটক-২ অবিশ্বাস্য থ্রোতে ভাঙল ৪৪ রানের জুটি, বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন মিরাজ ফুলের মতো পবিত্র মানুষগুলোই আপনাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে”–কুড়িগ্রামে পথসভায় ব্যারিস্টার ফুয়াদ কিম বাহিনীর সঙ্গে উত্তেজনা, প্রতিরক্ষা জোরদারের ঘোষণা দক্ষিণ কোরিয়ার

যে ডিম ভারতে ৫ টাকা, একই ডিম বাংলাদেশে ১৩ টাকা

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৬৭ Time View

ডেস্ক নিউজ : ভারত থেকে ডিম আমদানি করা হলেও বাজারে এর কোন প্রভাব পড়েনি, কমেনি দাম। ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় ডিমের ডজন কিনতে হচ্ছে ভোক্তাকে। ডিমের বাজার কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে? এমন প্রশ্ন ক্রেতাদের। ভারতে যে ডিম ৫ টাকার আশপাশে, সেখানে আমদানির পর তা বাংলাদেশে বিক্রি হচ্ছে অন্তত ১৩ টাকায়।

সীমান্তের ওপারে ভারতে যে ডিমের দাম ৫ টাকা; বাংলাদেশের বাজারে একই ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩-১৪ টাকায়। দামের পার্থক্য আকাশ-পাতাল।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি ক্যারেটে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এখান থেকে নিয়ে প্রতি ডজন ১৮০ টাকায় বিক্রি করতে হয় আমাদের। মাল পাচ্ছিনা, যারা গাড়িতে ৮০ হাজার মাল আনতো তারা এখন পাচ্ছে ৪০ হাজার। 

নানা উদ্যোগেও যখন বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছিল না; তখন ভারত থেকে ডিম আমদানি শুরু করেছে সরকার। প্রতি পিসের দাম আমদানি পর্যায়ে ৫ টাকা ৭০ পয়সা। এর সাথে ডিমপ্রতি ১ টাকা ৮৩ পয়সা শুল্কসহ যোদ করলে প্রতিটির দাম ৭ টাকা ৫৩ পয়সা।

একই ডিমের দামে এতো পার্থক্য কেন। এমন প্রশ্নে উৎপাদকরা বলছেন, ভারতে ফিড তৈরির কাঁচামাল সহজলভ্য ও সস্তা। এ কারণে উৎপাদন ব্যয় বাংলাদেশের তুলনায় কম।   

নারিশ পোল্ট্রি ও হ্যাচারি লিমিটেডের ম্যানেজার ডা. মো. মেহেদী হাসান বলেন, “ইন্ডিয়াতে ১৮ টাকা দরের ভুট্টা দিয়ে ফিড উৎপাদন করতে পারছে, সেই ভুট্টা আমাদের কিনতে হচ্ছে ৩৫-৩৬ টাকায়।”

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ফিড সস্তা হওয়ার কারণেই ভারতের ডিমের দাম কম, এমনটা পুরোপুরি সঠিক নয়। দেশটির বাজারে পূর্ণ প্রতিযোগিতা বিদ্যমান। অন্যদিকে, বাংলাদেশে সিন্ডিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ আছে।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. ফকির আজমল হুদা বলেন, “যদি মার্কেট সিস্টেমটা ভেঙে দেওয়া যায় তাহলে আমিদানিকারকরা বাধ্য হবেন ফিডের দামটা কম রাখতে।”

এদিকে, আমদানি অব্যাহত থাকলে স্থানীয় পোল্ট্রি শিল্প হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা উদ্যোক্তাদের।

এক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমদানি হলে ডিমের বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। দামও সহনীয় পর্যায়ে আসবে। তবে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষার কথাও বলছেন তারা।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “খামারিদেরকে ডিম উৎপাদনে উৎসাহিত করতে হবে এবং তারা যাতে অপেক্ষাকৃত কম খরচে ডিম উৎপাদন করতে পারেন এই বিষয়ে সরকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা।”

আগামী দুই মাসে ভারত থেকে আরও কমপক্ষে ৪৭ লাখ ডিম আমদানি হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

কিউএনবি/অনিমা/১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৪:৩৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit